বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
ড. মোহাম্মাদ আজিবার রহমান
আজ ২৭ জানুয়ারি অধ্যাপিকা রাশেদা খালেক এর ৭১তম জন্মবার্ষিকী। অবিভক্ত বঙ্গদেশের বৃহত্তর পাবনা জেলার বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত সিরাজগঞ্জের ডিগ্রিরচর গ্রামের মাতুলালয়ে ১৯৪৫ সালের ২৭ জানুয়ারি ক্ষণজন্মা এই খ্যাতিমার নারীর জন্ম। তাঁর জন্মদিনকে ঘিরে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিবার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সপ্তাহব্যাপি (২৭ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রয়ারি) অমর একুশে বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটির সম্মিলন কক্ষে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের রচিত গ্রন্থসমূহ প্রদর্শিত হবে। প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সম্মিলন কক্ষ পাঠক-দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
অধ্যাপক রাশেদা খালেক ঐতিহ্যবাহী উত্তর জনপদের একজন প্রতিথযশা নারী-একজন স্বআলোকিত স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সমাজ আলোকায়নের অগ্রদূত। বাঙালির গৌরবে সুশোভিত এই মহীয়সী নারী জাতিকে যা উপহার দিয়েছেন-যা ক্রমাগত দিয়ে চলেছেন সেজন্য তিনি অশ্রুতপূর্ব উপমা হিসাবে উপস্থাপনযোগ্য। তিনি জীবনকে রাঙিয়ে তুলেছেন বাঙালির কালজয়ী আদর্শের সমুজ্জ্বল আলোকমালায়। মহিমান্বিত মাতৃভূমির সাহিত্যঙ্গনে যাঁদের নাম ইতিহাসের সোনালী পাতায় চিরভাস্বর তিনি তাদের অন্যতম। তিনি নারী সমাজের এক জ্যোতির্ময় নক্ষত্র, যাঁর জ্ঞানের ঔজ্জ্বল্য ও জ্যোতির ¯িœগ্ধ প্রভায় সমাজ আলোকিত। অসাধারণ জ্ঞানপিপাসা, নিরলস প্রচেষ্টা, অবিরাম সাধনা, নিরবচ্ছিন্ন অধ্যবসায় ও ঐকান্তিক নিবিষ্টতা তাকে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। অবহেলিত নারীসমাজকে চিরজাগ্রত ও আত্মসচেতন করে তুলতে ক্লান্তিহীন পথিকের ন্যায় নিরন্তর সাধনা করে চলেছেন তিনি। প্রখর স্মৃতিশক্তি, অপরিসীম বিদ্যাবত্তা, অনুপম বুদ্ধিমত্তা, অতুলনীয় জ্ঞান-গরিমা ও অনুসন্ধিৎসার বলেই তিনি আজ সুগঠিত ও বিকশিত। ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ এই বাস্তব সত্যটি তাঁর জীবনে প্রতিফলিত। বিদুষী এই নারী দেশ ও জাতির জন্য আলোকস্তম্ভ, অনুপ্রেরণা।
বিভিন্নমুখি প্রতিভার অধিকারী নারব বার্তাবাহী এই নারী একাধারে শিক্ষানুরাগী, কবি, সাহিত্যিক, কথাসাহিত্যিক, গবেষক, সম্পাদক, প্রাবন্ধিক, সফল নারীনেত্রী, সমাজ সংস্কারক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত,¡ সুসংগঠক ও সুআলোচক। কবিতা, ছোট গল্প, ভ্রমণকাহিনী ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সৃষ্টিধর্মী লেখা নবীন প্রবীণ সকলকে মুগ্ধ করে। মানুষের জন্য এক সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয় প্রকাশ পেয়েছে তাঁর লেখনিতে। মানবতাবাদী, দেশপ্রেমিক এই লেখিকার লেখায় যুক্ত হয়েছে শিল্পের তীব্র আস্বাদন।
মমতাময়ী মা হালিমা খাতুনের কাছে তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয়। এরপর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন তিনি। নারীদের উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ১৯৭২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি কৃতিত্বের সাথে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ. ডিগ্রি অর্জন করেন। উচ্চশিক্ষা লাভের উদগ্র বাসনা, দেশ ও জাতির সেবা করার অতন্দ্র আকাক্সক্ষা অক্লান্তকর্মা এই নারীর মধ্যে লুক্কায়িত ছিল বলেই কোন বাধা-বিপত্তি তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
তিনি ১৯৬৫ সালের জুন মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ খ্যাতনামা ফোকলোর বিশারদ প্রফেসর আবদুল খালেক স্যারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্ত্রী হিসেবে তিনি অত্যন্ত সফল একজন নারী। তিনি প্রফেসর আবদুল খালেক এর জীবনের সকল বিপদ-আপদে বিশ্বস্ত সাথী, সংকট কালের সহগামিনী, নৈরাশ্যে আশার সঞ্চারিণী আর দুঃখ বেদনায় সান্ত¦না দায়িনী। পতিব্রতা, পতিপ্রাণা ও অসাধারণ গুণবত্তার অধিকারী সদা হাস্যোজ্জ্বল এই নারী তাঁর বিশ্বস্ততা, দূরদর্শিতা, হিতৈষণা, হিতকথা আর হিতোপদেশের কারণে সকলের নিকট অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্রী। মানবীয় গুণাবলীর কারণে জাতি-ধর্ম-বর্ণ, আবাল-বৃদ্ধ বণিতা নির্বিশেষে সকলকে একান্ত আপন করে নিতে পারেন তিনি।
অধ্যাপক রাশেদা খালেক এর জীবনে সবচেয়ে দুর্বিসহ সময় কেটেছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন। অসহনীয় অন্তর্দাহ নিয়ে নিদ্রাহীন অবস্থায় নিশিদিন অতিবাহিত করেছেন দীর্ঘ নয়টি মাস। নিদারুণ কষ্টের মধ্যে ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন তিনি। ভয়াল আতঙ্কে মোড়া সেইসব দিনগুলিতে বাঁচবার আশায় একটুখানি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে স্বামীসহ শিশু কন্যাদের নিয়ে তিনি শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে ছুটে বেড়িয়েছেন। এরই মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার ও অর্থ যুগিয়েছেন, অস্ত্র লুকিয়ে রাখার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজও করেছেন। অতঃপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ-মহান বিজয় দিবস। সেদিন মানুষের চোখে মুখে, ফেটে পড়েছে বেঁচে থাকার এবং বিজয় ছিনিয়ে আনার আনন্দ উল্লাস। সেই আনন্দ নিয়ে রাশেদা খালেক তৈরি করতে বসলেন সদ্যমুক্ত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। সবুজ-লাল-হলুদ রঙের কাপড় সংগ্রহ করে তৈরি করলেন বড় আকারের ২টি জাতীয় পতাকা। গ্রামের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া তরুণ যুবক ছাত্ররা জাতীয় পতাকা দু’টি নিয়ে বাঁশের আগায় বেঁধে টিনের চালে গাছের ডালে উড়িয়ে দিল। রাশেদা খালেক এর হাতে তৈরি জাতীয় পতাকা চরনবীপুর গ্রামে প্রথম পত পত করে উড়তে থাকলো। তাঁর মনে হলো ‘আহা কি আনন্দ আজি আকাশে বাতাসে’-এর চেয়ে বড় আনন্দ মানুষের জীবনে আর কি হতে পারে। তাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাশেদা খালেক ম্যাডামের গর্ব ও আনন্দের শেষ নেই।
মা হিসেবে অধ্যাপক রাশেদা খালেক একজন গর্বিত নারী, একজন রতœগর্ভা মা, একজন রতœপ্রসূ মা। প্রথমা কন্যা ফারহানা শাওন পেট্রোবাংলা, ঢাকার ডিজিএম পদে রয়েছেন। মধ্যমা কন্যা ড. ফারহানা নিক্কন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগের প্রফেসর। কনিষ্ঠা কন্যা ফারাহ দীনা গুঞ্জন রাবির বাংলা বিভাগ হতে প্রথম শেণিতে প্রথম স্থান অধিকারিনী, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী। ও পুত্র ফয়সাল খালিদ শুভেচ্ছা মার্কেটিংয়ে এমবিএ, এম আইটি ও একাউন্টেসিতে ডিগ্রি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত। সন্তানেরা সকলেই মা বাবার ন্যায় মৃদুভাষী, ন¤্র-ভদ্র, সদালাপী ও সংস্কৃতিমনা মানুষ। তাঁরা সকলেই আজ দেশে-বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত।
তিনি শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি রাজশাহী আদর্শ ডিগ্রি কলেজে সুদীর্ঘ ১৭ বছর অত্যন্ত সুখ্যাতির সাথে অধ্যাপনা করেছেন। দীর্ঘ শিক্ষকতার জীবনে তিনি হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর বরণীয় শিক্ষক হওয়ার দুর্লভ সম্মান অর্জন করেছেন। শিক্ষক হিসেবে তাঁর খ্যাতি ঈর্ষণীয়। তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক। বর্তমান সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও উচ্চপদস্থ তাঁর বহু ছাত্র-ছাত্রীই আদর্শ শিক্ষক হিসেবে তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকেন। সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় গভীর নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করেন। অনেক কঠিন বিষয়ও তিনি অতি সহজ করে বুঝিয়ে বলেন। তাঁর বহু ছাত্র-ছাত্রী বর্তমানে দেশে-বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। আমি সরাসরি জ্ঞানতাপস এই শিক্ষকের ছাত্র না হলেও ছাত্র সমতুল্য। অনেক কিছুই তাঁর নিকট থেকে শিখেছি, শিখছি।
শিক্ষাব্রতী, শিক্ষানুরাগী এই শিক্ষাবিদের অনেক স্বপ্ন। তাঁর বড় স্বপ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন দেশের মানুষ শিক্ষিত না না হলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তো সুযোগ বুঝে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিশাল ক্যাম্পাসে গড়ে তোলেন শিশুদের জন্য নার্সারি ও জুনিয়র স্কুল। তিনি স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৬ সালে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কঠোর সাধনা আর মমতা-ভালোবাসা দিয়ে তিনি স্কুলটি গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর শ্রম সাধনা বৃথা যায়নি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি বর্তমানে ‘শেখ রাসেল মডেল স্কুল’ নামে সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এবং তাঁর স্মৃতি বহন করে চলেছে।
অধ্যাপক রাশেদা খালেক ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষানগরী রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠা করেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তিনি এটির উদ্যোক্তা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পিছনে তাঁর অসাধারণ ত্যাগ ও অতুলনীয় সাধনা রয়েছে। সারাজীবনের সঞ্চিত সমস্ত অর্থ-সম্পদ, প্রিয়জনদের উপহার-উপঢৌকন দেয়া অর্থালঙ্কার বিক্রি করে এর পিছনে ব্যয় করেছেন তিনি। চরম ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজটি করা সাধারণ কোন নারীর পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই বলা যায়, প্রাণপণ সাধনা ও সীমাহীন কষ্টার্জিত ত্যাগের ফসল এই ইউনিভার্সিটি। তাঁর নিজ হাতে গড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ‘ক্ষণিকা’ ভবনে সদ্য ভূমিষ্ঠ এই ইউনিভার্সিটির প্রথম কার্যক্রম শুরু করেন। সেই থেকে পথচলা শুরু। প্রচ- ব্যস্ততার মাঝেও তিনি প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়েছেন। তাঁর অবিরাম প্রচেষ্টায় নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে।
পরহিতৈষী এই নারীনেত্রী দীর্ঘ সাংগঠনিক জীবনে বহু সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বাঙালি নারী সমাজকে সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে সম্মুখপানে অগ্রসর হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর ক্ষুরধার লেখনি, বক্তৃতা-বিবৃতিতে তা সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি নারী জাগরণের অগ্রপথিক। নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার ন্যায় তিনিও অবহেলিত, অধিকার বঞ্চিত, শোষিত, নির্যাতিত নারী সমাজের অনুপ্রেরণা।
পুরাণপ্রসিদ্ধি মুসলিম পরিবারের একজন নারী হিসেবে ইসলাম ধর্মের ব্যাপারে তাঁর গভীর পা-িত্য রয়েছে। তাঁর বিভিন্ন লেখায় তা প্রতীয়মান। ২০১৩ মালের ৮ আগস্ট রাজশাহীর সোনার দেশ পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় ‘মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর’ শীর্ষক তাঁর লেখা তথ্যবহুল একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধটি আমি গভীর মনোযোগ সহকারে আদ্যোন্ত পাঠ করেছি। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তাঁর পা-িত্যে আমি মুগ্ধ হয়েছি, সমৃদ্ধ হয়েছি, আলোকিত হয়েছি।
অধ্যাপক রাশেদা খালেক তাঁর অর্জিত জ্ঞান সুধা বিন্দু বিন্দু করে জাতির উদ্দেশ্যে নিংড়ে দিচ্ছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যাচ্ছেন চিরউজ্জ্বল ও চিরঅম্লান আদর্শ যা প্রতিটি দেশপ্রেমিক বাঙালির মর্মমুকুরে চিরভাস্বর, চিরগৌরবোজ্জ্বল দীপ্তি নিয়ে বিরাজমান থাকবে অনন্তকাল। দেশপ্রেম, স্বাজাত্যবোধ, ধর্মনিপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, নারী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তাঁর জীবনদর্শন। তিনি স্বীয় কৃতিরাজির মধ্য দিয়ে অবিনশ্বরত্ব লাভ করবেন। নবলোকে বেঁচে থাকবেন চিরকাল। আজকের শুভ জন্মদিনে তাঁকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং অনন্যচিত্তে মহান বিধাতার নিকট তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি।
লেখক: কো-অর্ডিনেটর, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং প্রক্টর, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী।