শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী সিটি করপোরেশন জনগণকে সেবা প্রদানের নামে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি ও সাইন বোর্ড ফি আরোপ করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে সাতদিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন বক্তারা। দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর সাহেববাজার আরডিএ মার্কেটের মূল গেটের সামনে বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিল ও অস্বাভাবিকহারে বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্স ফি ও সাইনবোর্ড ফি বাতিলের দাবিতে নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ আল্টিমেটাম দেন। মানববন্ধনে নগরীর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এনামুল হকের সভাপতিত্বে ও রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুণ-অর-রশীদ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান দুলাল, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রাজশাহী মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু মোত্তালেব বাদল, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. মোতাসিম বিল্লাহ, আইনজীবী এরশাদ আলী, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন রাজশাহীর সদস্য সচিব অ্যাড. হোসেন আলী পিয়ারা, সমাজসেবি ইফফাত আরা সরকার ইভা, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বজলুর রহমান, মহানগর মেস মালিক সমিতি সভাপতি অ্যাড. খোরশেদ আলম সিদ্দিকী, গণসংহতি আন্দোলন রাজশাহীর সমন্বয়কারী মুরাদ মোর্শেদ, ক্যাব রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি কাজী গিয়াস, দৈনিক উপাচার সম্পাদক ড. আবু ইউসুফ মো. সেলিম, বিএলডিপি রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক সরদার মো. সিরাজুল করিম, রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির পক্ষে অ্যাড. পারভেজ তৌফিক জাহেদী, পরিবহণ ব্যবসায়ী অচিন্ত্য কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার স্বপন, মুুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের পক্ষে জাবেদ আলী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাধারণ মানুষের আয়ের কথা বিবেচনা না করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ নগরবাসীর ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। সিটি করপোরেশনের যিনি মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। তাই তিনি জনগণের কথা চিন্তা না করে মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশনকে নাগরিকরা ট্যাক্স দিচ্ছে কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে কোনো সেবা পাচ্ছে না। মশার অত্যাচারে মানুষ বসে থাকতে পারছে না, বেওয়ারিশ কুকুরের অত্যাচারে রাস্তায় চলাচল করতে পারছে না। মানুষকে সেবা দেওয়ার প্রতি মনোযোগ না দিয়ে অবৈধভাবে ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।
মানবন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, আমরা যে দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করছি আমাদের সেই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, আমার একটি মেস আছে। আগে যার হোল্ডিং ট্যাক্স ছিল ৫০০ টাকা। সেটিকে বাড়িয়ে ২২ হাজার টাকা করা হয়েছে। আইনজীবী এরশাদ আলী বলেন, তার বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স আগে ছিল সাত হাজার টাকা। সেটিকে বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৬১ টাকা করা হয়েছে। তারা বলেন, এভাবে দেড়শ থেকে আড়াইশ গুণ পর্যন্ত ট্যাক্স বাড়ানো কখনো যৌক্তিক হতে পারে না।