মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশি শিশু আলিফা চিনের লেখা চিঠির জবাব দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি শিশু আলিফা চিনকে চিঠি লিখে তাকে পড়াশোনা, তার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে বলেন।
এছাড়া চিঠিতে তিনি চিন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতেও উৎসাহিত করেন।
বুধবার (৩১ মে) ঢাকার চিনা দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
চিঠিতে শেয়ার করা শিশু চীনের গল্পটি দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি ভালো উদাহরণ উল্লেখ করে শি জিনপিং বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই চিনা ও বাংলাদেশিরা ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং ভালো বন্ধু। যাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো।
চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ৬০০ বছরেরও বেশি আগে মিং রাজবংশের একজন চীনা নাবিক ঝেং হে দু’বার বাংলাদেশে এসেছিলেন। যা দু’জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের বীজ বপন করেছিল। ৬০০ বছরেরও বেশি সময় পরে চীনের নৌবাহিনীর একটি হাসপাতালের জাহাজের (দ্য পিস আর্ক) একজন চিনা নারী সামরিক ডাক্তার শিশু চীনের মাকে বিপজ্জনক সময়ে তাকে জন্ম দিতে সাহায্য করেছিলেন। আর চিনের বাবা তার নাম রেখেছেন চিনের বাংলাদেশি শব্দ অনুসারে ‘চিন’। এটি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী গল্প।
চিনা প্রেসিডেন্ট জানান, চিন বড় হয়ে চিন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের বার্তাবাহক হতে চায় জেনে তিনি খুবই আনন্দিত। আলিফা চিন ভবিষ্যতে চিনের একটি মেডিকেল স্কুলে পড়তে চায় যাতে তার মতো অন্যদের জীবন বাঁচাতে পারে।
শি আশা প্রকাশ করেন, চিন তার যৌবনকালের সর্বোত্তম ব্যবহার করবে এবং তার স্বপ্নকে বাস্তব করতে কঠোর অধ্যয়ন করবে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে শিশু চিন যখন জন্মগ্রহণ করে, তখন তার গর্ভবতী মা গুরুতর হৃদরোগের কারণে একটি কঠিন প্রসবের শিকার হন। সেই সময় চিনা জাহাজ ‘দ্যা পিস আর্ক’ চট্টগ্রামে অবস্থান করছিল। স্থানীয় হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী না থাকায় চিনা জাহাজের ডাক্তাররা তার মায়ের সিজার অপারেশন করেন। চিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তার বাবা শিশুটির নাম রাখেন ‘আলিফা চিন’।
চলতি বছরের শুরুতে ‘আলিফা চিন’ চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে একটি চিঠি লিখেছিল। চিঠিতে সে তার নিজের গল্প বলেছিল। চিনের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করেছিল। ভবিষ্যতে সে চাইনিজ মেডিকেল স্কুলে পড়ার আশা ব্যক্ত করেছিল যেন অন্যের জীবন বাঁচানো যায়।
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন