বাংলাদেশের কাছে হারে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, পরীক্ষায় পাশ না করলেই ছাঁটাই হবেন বাবরেরা

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪, ২:৩৪ অপরাহ্ণ

বাবর আজম। -ফাইল চিত্র।

সোনার দেশ ডেস্ক :


ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে টেস্ট সিরিজ হারায় ক্রিকেটারদের উপর ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। একের পর এক ব্যর্থতার পর ক্রিকেটারদের কড়া অনুশাসনে বাঁধতে চাইছেন পিসিবি কর্তারা। এ বার ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে বাবর আজম, শান মাসুদদের। পাশ করতে না পারলে ছাঁটাই করা হবে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে।

ক্রিকেটারদের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যে যাঁরা জাতীয় দলে আসতে পারেন তাঁদের সকলের ফিটনেসের পরীক্ষা নেওয়া হবে। যে ক্রিকেটারেরা এখন বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, তাঁদেরও পরীক্ষা দিতে হবে। যাঁরা পরীক্ষায় পাশ করবেন, শুধু তাঁদের সঙ্গেই আগামী ১২ মাসের জন্য চুক্তি করবে পিসিবি।

৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর লাহোরে হবে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা। পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ গ্যারি কার্স্টেন, জাতীয় দলের ফিজিয়ো এবং ট্রেনার পরীক্ষা নেবেন বাবর, মাসুদদের।

পিসিবি জানিয়েছে, ‘‘লাহোরে ফিটনেসের পরীক্ষা দিয়ে ক্রিকেটারেরা ফয়জলাবাদ যাবেন চ্যাম্পিয়ন্স কাপ খেলতে। পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ফিটনেসের উপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে। সন্তোষজনক ফল না হলে চুক্তির তালিকায় জায়গা হবে না।’’

কার্স্টেন এবং টেস্ট দলের কোচ জেসন গিলেসপি দু’জনেই জাতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটারের ফিটনেস নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পিসিবি কর্তা এবং নির্বাচকদের কড়া রিপোর্ট দিয়েছেন দুই কোচই। বিশেষ করে গিসেলপি জানিয়েছেন, দলে নির্বাচিত হওয়ার প্রধান শর্ত হতে হবে ফিটনেস।

পিসিবির এক কর্তা বলেছেন, ‘‘একাধিক ক্রিকেটারের ফিটনেসের মান দেখে ক্ষুব্ধ গিলেসপি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ব্যর্থতার জন্য ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অভাবকে দায়ী করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কার্স্টেনও একাধিক ক্রিকেটারের ফিটনেস নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। পিসিবি এ বার কড়া পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে।’’

আন্তর্জাতিক স্তরে সফল দলগুলির ক্রিকেটারদের যে ধরনের ফিটনেস টেস্ট দিতে, হয় বাবরদেরও এ বার থেকে সেই রকম পরীক্ষা দিতে হবে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মতো ইয়ো ইয়ো পরীক্ষাও দিতে হবে তাঁদের।

এই মুহূর্তে পিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা ২৭। পিসিবি কর্তাদের একাংশের মতে, ঠিক মতো পরীক্ষা এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে এই সংখ্যা বেশ খানিকটা কমে যাবে। সব ধরনের ক্রিকেটে দলের একের পর এক ব্যর্থতার পর আর সুর নরম করতে চাইছেন না পাক ক্রিকেট কর্তারা।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন