বাংলাদেশে আবাদ হচ্ছে ৩৪ জাতের মসলা

আপডেট: জুন ১০, ২০২৪, ১:৪৮ অপরাহ্ণ


শাহীন রহমান, পাবনা :


বর্তমান বিশ্বে ১০৯ ধরনের মসলা চাষ করা হলেও বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রায় ৪৪টি মসলা। এর মধ্যে চাষ করা হয় মাত্র ৩৪টি। বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের বার্ষিক চাহিদা ২৪ থেকে ২৫ লক্ষ টন। চাহিদা পূরন করতে প্রতিবছর ৭ থেকে ৮ লাখ টন মসলা আমদানি করতে হয়। অথচ এ দেশের মাটিতে অধিকাংশ মসলাই আবাদ করা সম্ভব। তাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারলে দেশের কৃষকদের মাধ্যমে আশানুরুপ ফলাফল পাওয়া যাবে।

পাবনার টেবুনিয়া হর্টিকালচার সেন্টারে মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ বিষয়ে দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ তথ্য জানান কৃষিবিদরা।
গত শনি ও রোববার দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থেকে তথ্যচিত্র ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন টেবুনিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ গোলাম ফারুখ হোসেন, বগুড়া মসলা গবেষনা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা ফাহিম ও টেবুনিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তা ময়নুল হক।

রোববার (৮ জুন) সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ৩০ জন কৃষক-কৃষাণীকে ৩টি করে ভিন্ন ভিন্ন জাতের আমের চারা ও একটি করে মালটা গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

প্রশিক্ষণে গ্রীষ্মকালীনসহ নানান জাতের পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, হলুদ, জিরা, তেজপাতা, লবঙ্গ, জাফরান, কালোজিরা, গোলমরিচ, ধনিয়াসহ বিভিন্ন মসলা জাতীয় ফসল চাষের ওপর অংশগ্রহণকারীদের সম্যক ধারণা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থী কৃষক আব্দুল হামিদ খান বলেন, আমাদের প্রশিক্ষণলব্ধ এই জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করে মসলার উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ সম্পর্কে প্রশিক্ষণে আমরা যে ধারণা পেলাম তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তব প্রয়োগ করতে পারলে, সঠিকভাবে অফিসের সাপোর্ট এবং মনিটরিং থাকলে আশা করা যায় পেঁয়াজ উৎপাদনে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হবে এবং একসময় পেঁয়াজ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ।

সমাপনী অনুষ্ঠানে টেবুনিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ গোলাম ফারুখ হেসেন বলেন, প্রযুক্তি জ্ঞান কাজে লাগিয়ে পরিকল্পিত উপায়ে চাষাবাদ করলে যেকোন ফসলই এখন লাভজনক। বাংলাদেশের মাটিতে অধিকাংশ মসলা আবাদ করা সম্ভব।

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কৃষিবিদ গোলাম ফারুখ হেসেন জানান, মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প’টির আওতায় ১৩ ধরনের মসলার সম্প্রসারণ কার্যক্রম চলমান।

এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৪০টি জেলা, ১১০টি উপজেলা ও ২৫টি হর্টিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে ২৮ হাজার ৬৫২টি মসলার প্রদর্শনী ও একটি মসলা গ্রাম বিদ্যমান রয়েছে। আমরা কয়েক বছরের মধ্যেই দেশকে মসলা ফসলে সমৃদ্ধ করতে পারবো।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ