রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
সিরিজ শুরু হতে এখনো অনেক দেরি। দিনের হিসেবে ১৬ দিন। আগে অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তুতি শেষে তারপর তিন ওয়ানডে, তিন টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্টের সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ। তবে যেতে যেতে প্রতিপক্ষের খোঁজখবর যদি করে থাকেন মাশরাফিরা, তাহলে একটা প্রেরণা নিশ্চয়ই পাবেন। বাংলাদেশ-পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিটা মোটেও ভালো হলো না কিউইদের, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তিন ওয়ানডের চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ।
প্রথম ম্যাচে ৬৮ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ড হেরেছিল ১১৬ রানে। গতকাল আরেকটু ‘উন্নতি’-হেরেছে ১১৭ রানে! অস্ট্রেলিয়ার ২৬৪ রানের জবাবে অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১৪৭ রানে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সিরিজটা অনেক প্রাপ্তির। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডেতে ৫-০তে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ও ঘরের মাটিতে টেস্টে প্রোটিয়াদের কাছে ২-১ ব্যবধানে হার-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটেই যেন হায় হায় রব পড়ে গিয়েছিল। সেটি কাটাতে এমন পারফরম্যান্সই দরকার ছিল স্মিথ-ওয়ার্নারদের।
তা সিরিজের শেষ ছবিটা হয়ে থাকল স্মিথদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রতিচ্ছবি। প্যাট কামিন্সের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান ট্রেন্ট বোল্ট, চিতার মতো লাফিয়ে ক্যাচটি নিলেন স্মিথ। এমন দুর্দান্ত ক্যাচ অবশ্য আগের ম্যাচেও নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
তবে ক্যাচটির আগেই অবশ্য সব হিসেব-নিকেশ চুকে বুকে গিয়েছিল। লক্ষ্য ২৬৫, সেটি তাড়া করতে নেমে যেন তাড়াহুড়ো পেয়ে বসেছিল গাপটিল-উইলিয়ামসনদের। কারওই যেন ক্রিজে টিকে থাকার দিকে নজর নেই। ছয়জন ব্যাটসম্যান পেরিয়েছেন দুই অঙ্ক, কিন্তু সর্বোচ্চ স্কোর? ওপেনার গাপটিলের ৩৪! লক্ষ্যটা এখনকার ওয়ানডেতে মোটেই বড় কিছু নয়, কিন্তু নিজেদের দুই অঙ্কের স্কোরগুলোকে বড় করতে না পারার মূল্যই দিতে হলো কিউইদের।
ওপেনিং জুটিতে গাপটিলের সঙ্গে মিলে টম ল্যাথাম (২৮) অবশ্য ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। ৯ ওভার না যেতেই দুজন মিলে তুলেছিলেন ৪৪ রান। কিন্তু এরপরই পথ হারানো। অস্ট্রেলীয় অফ স্পিনার ট্রাভিস হেড নিয়েছেন দুটি উইকেট, বাকি আটটিই পেসারদের। এর মধ্যে মিচেল স্টার্কই নিয়েছেন তিনটি। এটিও বাংলাদেশের জন্য শেখার, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পেসই ভরসা। তিন ম্যাচেই কিউইদের কাঁপিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পেস, উইকেট নিয়েছে ২৬টি। অবশ্য অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের পিচে তো তা-ই হওয়ার কথা।
বোলারদের ঝড়ের আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন একজন। নামটি অনুমান করতেই পারার কথা-ডেভিড ওয়ার্নার। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান গতকালও করেছেন সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে এই বছরে ২৩ ম্যাচে তাঁর সেঞ্চুরি হলো সাতটি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে অস্ট্রেলীয় ওপেনার ১২৮ বলে করেন ১৫৬ রান। যার মধ্যে চার ১৩টি, ছক্কা ৪টি। অবশ্য ওয়ার্নার ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বাকি ব্যাটসম্যানদেরও অবস্থা ছিল নিউজিল্যান্ডের মতো, ভালো শুরু করেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে না পারা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতে নামা ট্রাভিস হেডের ৩৭। তা নিয়ে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার আক্ষেপ করার কিছু আছে কি? নিউজিল্যান্ড যে ওয়ার্নারের সমান রানই করতে পারল না। সূত্র: স্টার স্পোর্টস,প্রথম আলো অনলাইন।