বাংলাদেশ রেলওয়ের NID বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত কি ভোগান্তি বাড়াবে?

আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ

এ.এস.এম. শাহরিয়ার জাহান, তথ্য-প্রযুক্তিবিদ:


পয়লা মার্চ থেকে নিজ নিজ এনআইডি দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট ক্রয়ের নির্দেশনা রয়েছে। যাত্রাপথে টিকেটের সাথে এনআইডি মিল না পাওয়া গেলে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করা হবে এমনটাই জানানো হয়েছে। এ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে দেখা যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন পরিবারের সদস্যসহ বা বৃদ্ধ বাবা-মায়ের জন্য কেউ তার নিজের আইডি দিয়ে টিকেট ক্রয় করতেই পারে। সেক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত হয়রানিমূলক হবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই শংকা প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন রেলের টিকেট নিয়ে কালোবাজারিদের যে দৌরাত্ব তা সবার আগে বন্ধ হওয়া দরকার। এছাড়া এনআইডি সংশোধন সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয় এটাও বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তির চার নম্বর শর্তাবলীতে পরিস্কার বলা আছে, যাত্রীকে এনআইডি বা জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি সাথে রাখতে হবে। কিন্তু সিন্ডিকেট ও কালোবাজারিরা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে অরিজিনাল এনআইডি কার্ড সাথে রাখার কথা বলে। এছাড়া এনআইডি কার্ড সাথে রাখলে চুরি বা হারিয়ে গেলে কিংবা ছিনতাই হলে কী হবে, ডুপ্লিকেট এনআইডি কার্ড আর তোলা যাবে না – এমন বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
“টিকিট যার ভ্রমণ তার” নীতি সরকারের একটি কল্যাণমুখী পরিকল্পনা হিসেবেই প্রতিয়মান হচ্ছে। মূলত: এনআইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে রাখার কথা বলা হয়েছে, মূল কার্ডটি নয়। আর এই পদ্ধতি সফল হলে সাপ্তাহিক টিকিট কোটা সহ, টিকিট কাটার সময়ে হয়ত পরিবর্তন আনা সহজ হবে। এছাড়া POS মেশিনের ব্যবহার, অনলাইন রিফান্ড পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে যাত্রীসাধারণের নানারকম সমস্যার সমাধান আরও সহজ ও দ্রুততর হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ