বাংলার জনপ্রিয় বাহন গরুর গাড়ির চাকা তৈরির কারিগরদের দুর্দিন

আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০১৬, ১১:৪৯ অপরাহ্ণ

এম সাখাওয়াত হোসেন, মহাদেবপুর
এক সময়ের গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় বাহন গরুর গাড়ির চাকা তৈরির কারিগরদের এখন চলছে চরম দুর্দিন। কালের আবর্তে গ্রাম বাংলা থেকে গরুর গাড়ির ব্যবহার কমে যাওয়ায় কাঠের চাকার চাহিদা কমে গেছে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছে চাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত শত শত কারিগর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিকট অতীতেও গরুর গাড়ির চাকা তৈরি করে মোটামুটি স্বচ্ছলভাবে দিনযাপন করলেও বর্তমানে ভাগ্যের চাকা ঘুরছে না এসব কারিগরদের। বাধ্য হয়ে অনেকেই ছেড়ে দিচ্ছেন বাপ-দাদার এই পৈত্রিক পেশা। নিতপুর বাজারের চাকার কারিগর আবদুর রাজ্জাক জানান, তার দাদা ও বাবা ছিল চাকার কারিগর। তাদের কাছ থেকে চাকা তৈরি শিখে তিনি নিজেও এ পেশা আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করেন। কয়েক বছর আগেও চাকার চাহিদা ভালো ছিল। কিন্তু বর্তমানে এ চাহিদা একেবারেই কমে গেছে। কোনো কোনো মাসে এক জোড়া চাকাও তৈরির অর্ডার পান না বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, এক জোড়া চাকা তৈরি করতে ৪ হাজার টাকা খরচ হয় সেই চাকা বিক্রি হয় ৭ হাজার টাকায়।

 

 

এ কারণে মাসে দুই তিন জোড়া চাকার অর্ডার পেলেই এ পেশায় জীবনযাপন করা সম্ভব হবে। কিন্তু চাকার অর্ডার না থাকায় এ পেশায় আগের মতো আয় হচ্ছে না। এ পেশার আয় কমে যাওয়ায় আবদুর রাজ্জাক নিজেও তার ছেলেকে এ পেশায় আনেন নি, শিখিয়েছেন রাজমিস্ত্রির কাজ। শুধু আবদুর রাজ্জাকই নয় অনেক চাকার কারিগরই বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যদের অন্য পেশায় নিয়োজিত করছেন। পার্শবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় সব চাইতে বেশি পরিবার চাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিল। কাজ না থাকায় তারাও পেশা বদলে বাধ্য হচ্ছেন।