বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
বাগমারা প্রতিনিধি
বাগমারা উপজেলাসহ আশেপাশের এলাকায় পাটের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষক বেজায় খুশি। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে পাট চাষী ও ব্যবসায়ীরা বেশ লাভবান হচ্ছে।
বাগমারা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় পাটের আবাদ হয়েছে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর এই চাষাবাদের পরিমাণ ছিল সাড়ে বারশো হেক্টর। এখন পাট কাটা ও জাগ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। এখন কৃষক শুকানো পাট নিয়ে হাটে যাচ্ছে।
উপজেলার নরদাশ এলাকার কৃষক আবুল হোসেন জানান, এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। এতে প্রতি বিঘা খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। পরে জাগ দিয়ে ও শুকিয়ে পাট পরিমাপ করে দেখেন প্রতি বিঘায় তিনি ৮ থেকে ১০ মণ হারে পাট পেয়েছেন।
শ্রীপুরের কৃষক মকবুল হোসেন জানান, এবার ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যা হওয়ায় চারিদিকে থৈ থৈ পানি। খালে বিলে পানি থাকায় পাট জাগ দিতে তেমন অসুবিধা হয়নি। পাট জাগ থেকে খোসা ছাড়ানো পর্যন্ত পাটের মান ভাল রয়েছে। শুরুতেই পাট আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। তবে এখন বাজার তিন হাজারের উপর। তার মতে, ভাল দাম পাওয়ায় এবার পাটের আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছেন তিনি।
একই এলাকার কৃষক মমতাজ, আয়নাল, হবিবর সহ ১০/১২ জন কৃষক আশাবাদি হয়ে বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় তারা উপযুক্ত পাটের দাম পাবেন এমনটি আশাও করেননি। তারা আরো আশাবাদি হয়ে বলেন, এই সরকার পলিথিন সহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক দ্রব্যাদি তুলে দিতে চাইছে এটা খুব ভাল পদক্ষেপ। সোনালী আঁশ পাটের সেই হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে এবং তারা আরো বেশি করে পাট চাষ করবেন এমন আশায় বুক বেঁধেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল রাজ্জাক জানান, এবার আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূল ছিল। প্রথম থেকে কৃষকরা পাটের দাম ভাল পাওয়ায় বেশ লাভবান হচ্ছেন। ভবিষ্যতে এই উপজেলায় আরো বেশি হারে পাটের আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।