বাগমারায় শাবল দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা

আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ৯:২৫ অপরাহ্ণ

বাগমারা প্রতিনিধি:

পারিবারিক কলহের জেরে রাজশাহীর বাগমারায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়েছেন। নিহতের নাম ঝর্না আক্তার লিপি (২২)। তিনি উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বুজরুককৌড় গ্রামের আলীমুদ্দিনের মেয়ে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে স্বামী রুবেল হোসেন নৃশংসভাবে স্ত্রীকে হত্যা করে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজশাহীর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এরশাদ আলী। ওই ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তÍুতি চলছে বলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানিয়েছেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাত বছর পূর্বে বাগমারা গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে রুবেল হোসেনের (২৮) সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ঝর্না আক্তার লিপির। বিয়ের পরে তাদের ঘরে একটি সন্তান রয়েছে।

বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকে রুবেল হোসেন তার স্ত্রী ঝরনা আক্তার লিপিকে নানা অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই সপ্তাহ পূর্বে ঝর্না তার বাবার বাড়ি বুজরুককৌড় গ্রামে চলে যায়। পরে স্বামীসহ তার প্রতিবেশীরা আর নির্যাতন করবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবারো স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসেন।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে স্বামী রুবেল স্ত্রী ঝর্নাকে লোহার শাবল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ঝর্নার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে রুবেল পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন ঝর্নাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে বাগমারা থানা পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান এবং নিহত ঝর্নার লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ওই ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Exit mobile version