বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গত ৭ মে। কিন্তু ৫ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ওই নির্বাচন স্থগিত করে দেয়। এরপর আগামী ৩১ অক্টোবর আবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থগিত হওয়া এই নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে এখন প্রচার-প্রচারণাও তুঙ্গে উঠেছে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে দিনরাত নিজের পক্ষে ভোট চাইছেন ৬২৯ জন প্রার্থী।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, ১৬টি ইউনিয়নের নির্বাচনে এবার চেয়ারম্যান পদে ৬৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪২৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ৭ অক্টোবর মনোয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রচার-প্রচারণাও তেমন জমে উঠছে। চেয়ারম্যান পদে এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় বাড়তি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণও। তবে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, প্রতীক নয়, প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের প্রতিটিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পাশাপাশি বিএনপির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন দুয়েকজন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী। কোথাও কোথাও জাতীয় পার্টির প্রার্থীও রয়েছেন। তবে ভোটের লড়াইটা হবে আওয়ামী লীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম হোসেন জানিয়েছেন, অনিয়ম এবং সংঘর্ষের কারণে ৭ মে চতুর্থ ধাপের ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। তবে এবার এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।