বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
বাগমারা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আলোকনগর গ্রামের সখোপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের সর্বহারা কায়দায় জমিজমা জোরপূর্বক দখলকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সকালে প্রতিপক্ষের হামলায় মৃত আবুল কাশেম পক্ষের চারজন আহত হয়েছে। আহতদের তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও মৃত ভাদু প্রামানিকের ছেলে ইসমাইল হোসেনকে বাগমারা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবু তালেব বাদী হয়ে দশজনের নাম উল্লেখ করে আরো আহতদের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা দখল সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শনিবার সকাল দশটার দিকে একই গ্রামের মৃত সবরার ছেলে রফিকুল ইসলাম, মৃত মেছের আলীর ছেলে জেকের আলী, গোলাম হোসেনের ছেলে খোরশেদ আলম ও মোরশেদ আলম, মৃত মহিমের ছেলে হবিবর রহমান ও মজিবর রহমান, হবিবর রহমানের ছেলে আফজাল হোসেন, আলতাফ হোসেন ও জুয়েল রানা, মজিবরের ছেলে ফারুক হোসেনসহ আরো অনেকে ধারালো হাসুয়া, দা, চাইনিজ কুড়াল, ফালা, লোহার রড, শাবল ও লাঠিসোটা নিয়ে আবু তালেবের বাড়িতে আক্রমণ করে। এসময় তাদের চিৎকারে এগিয়ে আসলে মৃত ভাদু প্রামানিকের ছেলে ইসমাইল হোসেনকে আক্রমণ করে। এ ঘটনায় ইসমাইল হোসেন মারাত্মক আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এ সংক্রান্ত ঘটনার তদন্তে আসা থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসী কায়দায় আসামিরা হামলা চালায়। এসময় ওই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
আবু তালেব জানান, তার বাবার নামীয় বৈধ অন্তত বারো বিঘা জমি সর্বহারা কায়দায় জেকেরসহ অন্যরা লাল পতাকা টাঙিয়ে জোরপূর্বক দখল করে নেয়। তাদেরকে ওই জমিতে নামলে হত্যা করে লাশ গুম করা হবে বলে হুমকি দেয়ায় তাদের ভয়ে আমরা পালিয়ে থাকি। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আবু তালেব আরো জানান, জেকের একজন চিহ্নিত সর্বহারা ক্যাডার। পরে তিনি বাংলা ভাইয়ের দলে আত্মসমর্পণ করে জেএমবিতে যোগ দেয়। সে বহিরাগত ক্যাডারদের নিয়ে অস্ত্রসহ এলাকায় চলাফেরা করে। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় জোরপূর্বক জমি দখলসহ নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও জেকের আলীরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও করে রেখেছে। তাদের ভয়ে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শাহীন জানান, মারপিটের ঘটনার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। যোগাযোগ করা হলে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম হোসেন জানান, মারপিটের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।