বাগমারায় পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ পাচ্ছে না কৃষক

আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০১৭, ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ

বাগমারা প্রতিনিধি



বাগমারা উপজেলায় চলতি মৌসুমে কন্দ জাতের পেঁয়াজ চাষাবাদ করে উৎপাদন খরচ উঠছে না বলে জানা গেছে। জেলার পেঁয়াজ উৎপাদনকারী উপজেলা হিসেবে বাগমারা অন্যতম। এ উপজেলার তাহেরপুরী পেঁয়াজের সমাদর বেশ আগে থেকেই। পেঁয়াজের ফলন ভাল হলেও দাম কম হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। উৎপাদন খরচ না পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন তারা। তবে অনেক কৃষক জানান, পেঁয়াজ চাষে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে বর্তমানে বিক্রির পর একই টাকা পাওয়া যাচ্ছে। কয়েক মাসে খেতে পরিশ্রম করেও কোন লাভের মুখ দেখছেনা বলে জানিয়েছেন তারা। যথা সময়ে সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং অনুকূল আবহাওয়া থাকলেও বাজার দর কম হওয়ায় কিছুদিন পেঁয়াজ রেখে বাড়তি দাম পাবার প্রহর গুনছেন অনেক কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে বাগমারার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় এক হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে কন্দ জাতের সেচ পেঁয়াজের চাষাবাদ করা হয়েছে। মাড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের পেঁয়াজ চাষী আজিম উদ্দিন জানান, শ্রমিক, সেচ, সার ও কীটনাশক খরচ বাবদ প্রতি কাঠা জমিতে যে খরচ হয়েছে কৃষকরা তার চেয়ে বেশী দাম পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি এবার পনেরশ টাকা মণ দরে বীজ কিনে ষোল কাঠা জমিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ করেছেন। বাজার দর কম থাকায় উৎপাদন খরচ উঠছেনা বলে তিনি জানিয়েছেন। নিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানান, পনের কাঠা জমিতে পেঁয়াজন চাষ করে উৎপাদন খরচ নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বলিদাপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন একই কথা জানিয়ে তিনি বলেন খেতে সেচ, সার ও ওষুধ প্রয়োগ করে উৎপাদন ভাল হয়েও লাভ হচ্ছেনা। হামিরকুৎসা ইউনিয়নের শ্রীপতি পাড়া গ্রামের পেঁয়াজ চাষী ওয়াজেদ আলী জানান, দশ কাঠা জমিতে পিঁয়াজ চাষ করে বাজার দর কম হওয়ায় জমিতেই রাখা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৫০/৬০ মন পেঁয়াজ উৎপন্ন হলেও খরচের তুলনায় দাম পাওয়া যাচ্ছে না। বাগমারার বিভিন্ন হাট-বাজারে বর্তমানে সাড়ে পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, শ্রমিক, ওষুধ ও সার খরচ বাবদ প্রায় ৩০/৩২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এক বিঘা জমিতে প্রায় ৫০/৬০ মণ উৎপাদন হলেও বাজার দর কম হওয়ায় অধিক লাভ পাচ্ছেনা চাষীরা। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, পেঁয়াজের উৎপাদন ভাল হয়েছে। বাজার ব্যবস্থা ভাল হলে কৃষকরা লাভবান হতে পারবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ