বাগমারায় বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ।। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০১৭, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

বাগমারা প্রতিনিধি


রাজশাহীর বাগমারার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় এলাকাবাসী  ও বিদ্যালয়ের জমিদাতাগনের পক্ষে সাইফুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয় স্থাপনের সময় এলাকার ১১ জন ব্যক্তি জমি দান করেন। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠনের সময় জমি দাতাদের নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয়রা ১১ জমি দাতার নামের তালিকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে দাতা সদস্য নির্ধারনের জন্য পাঠান। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি দাতাদের মধ্যে বিদ্যালয় স্থাপনের সময় যার জমির অংশ বেশি ছিল তাকে অনুমোদন দিয়ে পাঠিয়ে দেন। শিক্ষা কমিটির সভাপতির মনোনিত ব্যক্তিটি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পছন্দের না হওয়ায় তিনি নিজের সুবিধা আদায়ের জন্য পছন্দমত ব্যক্তিকে সভাপতি বানিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দফতরে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। এলাকাবাসীর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হলে অন্য দাতা সদস্যরা একত্রিত হয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরবার লিখিত অভিযোগ করেন।
এলাকার লোকজন জানান, প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দীন বিদ্যালয়ের সম্পত্তি থেকে অর্জিত আয়ের সকল টাকা নিজেই ভোগ করে আসছেন। প্রতি বছরে ওই বিদ্যালয়ের সম্পত্তি থেকে বাঁশ, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও আম, কাঁঠাল বিক্রি করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় হয়। আগের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের আয়ের কিছু টাকা ব্যাংক হিসেবে রেখে গেলেও বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দীন সেগুলো নিজেই আত্মসাত করেছেন। তিনি পকেট কমিটি তৈরি করে বিদ্যালয়ের সকল আয়ের টাকা আত্মসাত করার চেষ্টা করছেন বলে তারা দাবি করেন। তারা অবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দীনকে অপসারণ ও পকেট কমিটি বাতিলের মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য এলাকার লোকজনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন তার ব্যবহৃত ফোনটি রিসিভ করে নি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন জানান, তিনি লিখিত অভিযোগের বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দীনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে, এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুর ইসলাম সান্টু বলেন, বিধি সম্মতভাবে কমিটি গঠন করা না হলে সে কমিটির কোন কার্যকারিতা থাকে না।