বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
বাগমারা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের সাঁকোয়া গ্রামের রাস্তার দুই পাশের্^ দুই স’মিলের কাঠ রেখে রাস্তা সংকীর্ণ করার অভিযোগ উঠেছে। শিকদারী-তাহেরপুর রাস্তার ধারে স্থাপন করা ওই দুইটি স’মিলের কাঠ রাস্তা দখল করে রাখায় যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিকদারী বাজার সংলগ্ন শিদকারী-তাহেরপুর রাস্তার সাঁকোয়া নামক স্থানে একই গ্রামের জনৈক দুই ব্যক্তি পাশাপাশি রাস্তার এপার ওপার একটি করে স’মিল স্থাপন করেছে। ওই মিলকে কেন্দ্র করে প্রায় দুইশ মিটার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কাঠের স্তুপ গড়ে তোলা হয়েছে। রাস্তার ওপরে বড় বড় কাঠ রাখায় ওই স্থান গুলোতে দুই দিক থেকে আসা যানবাহন পারাপারে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গেছে। রাস্তা দখল করে চলছে স’মিলের কাজ। সাঁকোয়া গ্রামের জাবেদ আলী ও আব্দুল খালেক নামের দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে চালিয়ে আসছে ওই দুই স’মিল। প্রায় দুইশ গজ রাস্তার দুইধার বিভিন্ন কাঠ রাখার কারণে পথচারী ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘœ ঘটছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে সাঁকোয়া উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ায় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করতে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি করছে রাস্তার দখল করে রাখা কাঠ। পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে চলা ওইসব স’মিল স্থাপনের ফলে এলাকার সরকারি গাছ চুরির ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে পুলিশ ওই সমস্ত স’মিল থেকে সরকারি চুরি করা গাছের কাঠ উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। জনবসতি পূর্ণ স্থান, রাস্তা, চলাচলে সমস্যা হয় এমন স্থানে স’মিল স্থাপনের কোন নিয়ম না থাকলেও নিয়মের তোয়াক্কা না করে চলছে মিলগুলো। এছাড়াও একই ইউনিয়নের পাকা রাস্তার ধারে যাত্রাগাছী বাজারে গ্রামীণ ব্যাংকের সামনেই চলছে আরেকটি স’মিল। ওই বাজারের ধারে রাস্তর মোড় হতেই রাস্তা দখল করে রাখা হয়েছে কাঠ। রাস্তা দখল করে কাঠ রাখার কারণে প্রায় দিনই ওইসবস্থানে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। উপজেলা সদরে যাবার প্রধান রাস্তার ওপর ওই স’মিলগুলো স্থাপন করায় চলাচলে হিমশিম খাচ্ছে এলাকাবাসী।
ওই রাস্তায় চলাচলকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বাবুল, এনামুল হক, আলমগীর হোসেন ও আবদুল খালেকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রাস্তার ওপরে স’মিল করায় কাঠ রাখার কারণে ওই স্থান খুব আতঙ্কের সঙ্গে পার হতে হয়। এছাড়াও মিল চলাকালীন সময়ে চোখের মধ্যে কাঠের গুড়া এসে সমস্যার সৃষ্টি হয় বলেও জানান তারা।