বাগমারায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ হাতেম আলী

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭, ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ

বাগমারা প্রতিনিধি



রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষা সপ্তা ২০১৭ এর বিভিন্ন ইভেন্টের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ভবানীগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাতেম আলী। একই সঙ্গে কলেজটিকে উপজেলার সেরা কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষা সপ্তা ২০১৭ এর উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাচাই বাছাইয়ের জন্য গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ইউএনও’র নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সভায় এই ফলাফল প্রস্তুত করে পর দিন  ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি প্রজ্ঞাপনের মধ্যমে তা প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভবানীগঞ্জ কলেজটি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ও শিক্ষার মান উন্নয়নসহ বিভিন্ন  সামাজিক  সংস্কৃতিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এলাকায় একটি মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে সম্মিলিতভাবে চতুর্থ স্থান এবং বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে প্রথমস্থান অর্জন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট অর্জন করেন। এর আগে ২০০৯ সালে কলেজটিতে প্রথম সম্মান কোর্স চালু হয়ে বর্তমানে ৬টি বিষয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি ও অনার্স কোর্স মিলে কলেজটিতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি শিক্ষার মান উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকাসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলীর জন্য ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই জাতীয়করণের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কলেজটির পরিচালনা পর্যদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। তাঁর প্রচেষ্ঠাতেই কলেজটিতে অনার্স কোর্স চালুকরণ ও অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়।
কলেজ অধ্যক্ষ হাতেম আলী জানান, কলেজটির প্রতিষ্ঠাকালীন বিভিন্ন ভূমি দাতাসহ প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সাবেক এমএনএ শাহ মোহাম্মাদ জাফরুল্লাহর হাত ধরে যাত্রা শুরু করে বর্তমান সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের মাধ্যমে পূর্ণতা লাভ করে চলেছে। আগামীতে এই ঐতিহ্যবাহী কলেজে আরো মূল্যবান কয়েকটি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুর মাধ্যমে এলাকার গরীব ও হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ সুগম করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ