বাঘায় আত্মগোপনে সাবেক জনপ্রতিনিধিরা, পরিষদের কার্যক্রমে ধীরগতি

আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ৯:০১ অপরাহ্ণ

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি


রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৬ ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই পৌরসভার সাবেক মেয়র লাপাত্তা রয়েছেন। ৫ অক্টোবরের পর থেকে তাদের এলাকায় আর দেখা যাচ্ছে না। এতে করে আত্মগোপনে সাবেক জনপ্রতিনিধিরা থাকায় পৌরসভাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে ধীরগতি চলছে।

জানা গেছে, উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আড়ানী পৌরসভার সাবেক মেয়র মুক্তার আলী ও আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, আড়ানী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও আড়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, চকরাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান ও চকরাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, গড়গড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি ও গড়গড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও মনিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ ও জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক। ৫ অক্টোবরের পর থেকে তাদের এলাকায় আর দেখা যাচ্ছে না।

এ দিকে ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বাজুবাঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাজুবাঘা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এ্যাড. ফিরোজ আহমেদ রঞ্জুকে ছাড়া আর কাউকে এলাকায় ৫ অক্টোবরের পর থেকে দেখা যাচ্ছে না। এরমধ্যে উপজেলার চেয়ারম্যান ও দুই পৌরসভার মেয়রের পদ শূন্য ঘোষণা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারাই দায়িত্ব পালন করছেন। এ দিকে চেয়ারম্যানরা এলাকা ছাড়া লাপাত্তা হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের অনেক কাজ ধীরগতিতে চলছে।

এ বিষয়ে আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ৫ অক্টোবরের পর থেকে চেয়ারম্যান পরিষদে আসছে না। আমরা দায়িত্ব পালন করছি। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।

আড়ানী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার নামে দুটি মামলা হয়েছে, এ কারণে সঠিকভাবে অফিস করতে পারছি না। তবে মাঝে মধ্যে পরিষদে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ৫ অক্টোবরের পর থেকে চেয়ারম্যানরা অফিস করছে না সেটা জেনেছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রির্পোট চেয়েছিলেন, সেটা দেওয়া হয়েছে।

 

Exit mobile version