বাঘায় কলেজ ছাত্রকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত

আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২৪, ৮:৩৬ অপরাহ্ণ


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:


রাজশাহীর বাঘায় কলেজ ছাত্র ফাহিম মোন্তাসির প্রান্তকে (১৮) লোহার রড় ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বাউসা বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ফাহিম মোন্তাসির প্রান্ত বাউসা কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাশ করেছে। তিনি হাটবাউসা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।

এ ঘটনার সাথে জড়িত দাবি করে বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

জানা যায়, ফাহিম মোন্তাসির প্রান্ত রোববার সকালে বাউসা বাজারে সেলিম হোসেনের চায়ের স্টলে বসে ছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেনের সহযোগিতায় কাজল হোসেন, রুবেল হোসেন, মারুফ হোসেনসহ ৮-৯ জনের একটি দল মুখে মাকস পড়ে তাকে লোহার রড় ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে চলে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনার মূল হোতা হিসেবে দায়ী করা হয়েছে বাউসা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেনকে।

জাহিদ হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে বাউসা বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিউর রহমান শফি। বক্তব্য রাখেন বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন, ইউনুস আলী, শহিদুল ইসলাম বাবু, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান পিংকু, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল করিম, বাউসা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান ভূট্ট, বাউসা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক মহিনুল ইসলাম, বাউসা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর শাকিম উদ্দিন প্রমুখ।

৩ শতাধিক আওয়ামী লীগের নারী ও পুরুষ সমর্থকদের নিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়েছে বলে দাবি করেন বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিউর রহমান শফি।

এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। তবে লোকমুখে শুনেছি প্রাপ্ত নামের ছাত্রলীগের এক ছেলেকে কে বা কারা মেরেছে। তবে আমকে কী কারনে অবাঞ্চিত করে বিক্ষোভ করেছে বিষয়টি জানা নেই।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, মারপিটের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ