বাঘায় ‘গরীবের আর্ত্তনাদ’ যাত্রাপালা মঞ্চায়ন

আপডেট: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ণ


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:


রাজশাহীর বাঘায় পরিবারিক নির্যাতনের কাহিনি নিয়ে ‘গরীবের আর্ত্তনাদ’ যাত্রাপালা মঞ্চায়ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় আড়ানী পৌরসভার গোচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই যাত্রাপালা মঞ্চায়িত হয়।

গোচর গ্রামের সাংস্কৃতমনা, যাত্রাপ্রেমী তরুণ যুবকের উদ্যোগে ‘গরীবের আর্ত্তনাদ’ যাত্রাপালাটির মূল রচয়িতা ছিলেন মতিউর রহমান। তবে পরিচালনা করেন জামাল মন্ডল। যাত্রাপালায় সামাজিক শিক্ষা, লোক শিক্ষা, গ্রাম বাংলার অত্যাচারী রাজশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর পল্লী বাংলার জীবন কাহিনি নিয়ে ‘গরীবের আর্ত্তনাদ’ যাত্রাপালা মঞ্চায়িত হয়।

একদিন মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে শিবানী অপমানিত হয়েছিল। এরপর রাজসভায় তাকে ও তার বাবাকে লাঞ্ছিত হতে হয়েছিল। কী অপরাধ ছিল বৃদ্ধ বাবা শান্তিরাম ও মেয়ে শিবানীর? কোন অপরাধ না করে জীবনের শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত কারাগারে মাথা ঠুকে মরতে হয়েছিল।

একদিকে দাউদ খান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন, অন্যদিকে বাখর খাঁর বিশ্বাসঘাতকতা, সোলেমানের নির্ভিকতা এবং যুবরাজ বিজয় সিংহ ও শিবানীর মধুর প্রণয়ের নির্যাতনের কাহিনি মঞ্চায়িত করা হয়। আধুনিকতার যুগে যাত্রাপালাটি দর্শকরা এটি খুব ভালোভাবে উপভোগ করে।

এদিকে প্রজার কন্যার সাথে নবারের ছেলের প্রেমের সর্ম্পক হয়। নবাব সেটা মেনে নেয় নি। প্রজার পরিবারকে নির্যাতন করে। প্রজাকে কারাগারে পাঠিয়ে পরে হত্যা করে। অন্যায় অত্যচারের বিরুদ্ধে নবাবের ছেলে প্রতিবাদ করে। এতে প্রজা ও নবাবের মধ্যে যুদ্ধ হয়। নবাব পরাজিত হন। এভাবে কাহিনি সমাপ্ত হয়।

এ বিষয়ে যাত্রাপালার পরিচালক জামাল বলেন, আধুনিক সংস্করণ বর্তমানে ভালো কোনো গল্প নেই, পালার আমেজ নেই, ডিজে বাজিয়ে পালার আসরে নারী-পুরুষের যৌথ উচ্ছৃঙ্খলা যখন যাত্রার উপজীব্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে তখন ‘গরীবের আর্ত্তনাদ’ যাত্রাপালাটি থেকে দর্শকরা মূল যাত্রার স্বাদ পেয়েছেন। এক কথায় সুস্থ ধারার বিনোদনেরও একটি মাধ্যম যাত্রাপালা।

যাত্রাপালার নির্দেশক মাইদুল ইসলাম বলেন, এটি মা, মাটি, দেশে ও সমাজের কথা বলে। আদি সংস্কৃতির সেই যাত্রা পুরনো স্মৃতিগুলোকে আবার সামনের দিকে নিয়ে আসতে চাই। সেই প্রয়াসে এটি মঞ্চায়ন করা হয়।
যাত্রাপালার দর্শক ওলিম উদ্দিন বলেন, ‘গরীবের আর্ত্তনাদ’ যাত্রাটি নিজেকে খুব উপভোগ করেছি। খুব ভাল লেগেছে।

এতে অভিনয় করেন আড়ানী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নওশাদ আলী, সাজদার রহমান, সুফিয়ান আলী, রুহুল ইসলাম, নান্টু আহম্মেদ, জিয়াউর রহমান, শহিদুল ইসলাম, এমরান হোসেন, বকুল হোসেন, নায়কের অভিনয় করেন সেন্টু হোসেন এবং নায়িকা ছিলেন নওগা থেকে আগত রত্না বেগম, রুপা বেগম, রাজলক্ষী, নুপুর প্রমুখ।#

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ