শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় মাঝপথে থমকে গেছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর থেকে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজ। ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৪ কিলোমিটার রাস্তার কাজ দু’বছর হলো শেষ হলেও মাঝপথে চারঘাট বাজার ও বাঘা বাজারে এখনও কাজ শুরু হয়নি।
এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীরা। প্রতিনিয়তই যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে পরিবহনসহ পথচারীদের। তবে রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাবি টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই চালু হবে বন্ধ থাকা রাস্তার কাজ।
রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) থেকে জানা গেছে, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর থেকে চারঘাট-বাঘা-নাটোরের লালপুর হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ৫৪ কিলোমিটার সড়ক। ১৮ ফুট থেকে সড়কটি হয়েছে ৩৪ ফুট চওড়া। সড়কের প্রশস্তকরণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তবে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় আরও এক বছর সময় বাড়িয়ে কাজ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে।
এ দিকে সড়কের কাজ শেষ করে গত ডিসেম্বরে ঠিকাদাররা হস্তান্তর করলেও চারঘাট ও বাঘা বাজারে জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় থমকে আছে চারঘাট ও বাঘাবাজারে নির্মাণ কাজ। এতে বিপাকে পড়েছেন ব্যস্ততম এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা। সড়ক দুর্ঘটনা এবং পথে পথে যানজটে নাকাল হচ্ছেন পরিবহন জগতের লোকজন।
মাত্র ৫ মিনিটের সড়ক পার হতে সময় লাগছে এক থেকে দুই ঘণ্টা। কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে তাও জানে না এ অঞ্চলের লোকজন। তবে সড়ক বিভাগের দাবি জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সমপন্ন হয়েছে। আর মাত্র মাত্র মাস খানেকের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।
চারঘাট বাজারের জমির মালিক নয়ন ইসলাম, আহসান হাবিব ,আব্দুর রাজ্জাক,কোরবান আলীসহ একাধিক ব্যক্তি জানান আমরা এখনও কোন টাকা পয়সা পাইনি। কবে পাওয়া যাবে টাকা সে বিষয়েও আমরা কিছুই জানিনা।
অপরদিকে বাঘা বাজারের জমির মালিক এনামুল হক ঝন্টু, শাহিন আলী ও ইমদাদুল হকসহ একাধিক জমির মালিকের দাবি বাঘাতে অধিকাংশ জমির মালিক এখনও টাকা পায়নি। ফলে এ সড়কের কাজ শুরু হবে কিভাবে।
সড়ক ও জনপথ রাজশাহী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা আফরীন ঝিনুক বলেন, ইতিমধ্যে সড়কটির টেন্ডার কাজ সমপন্ন হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আর মাত্র ১ মাসের মধ্যে চারঘাট ও বাঘাবাজারে বন্ধ থাকা কাজ শুরু করা হবে।
তবে জমির মালিকরা এখনও টাকা পায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা জেলা প্রশাসককে টাকা পরিশোধ করেছি। যারা এখনও টাকা পায়নি সেটির বিষয়ে জেলা প্রশাসক ভালো বলতে পারবেন বলে জানান তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে রাজশাহী জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মিথিলা দাস বলেন, কর্মস্থলে নতুন যোগদান করায় আমি এখনও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয়। তবে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে আপনাকে জানাতে পারবো।