বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আর মাত্র দুইদিন পর ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ২০ মে প্রতিক বরাদ্দের পর একটানা ১৫ দিন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। প্রচার-প্রচারণা চালাতে গিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস ও মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন।
চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু (মোটরসাইকেল) এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রিন্টু (আনারস) প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে একে অপরের বিরুদ্ধে শনিবার (১ জুন) অভিযোগ করেন এই দুই প্রার্থী।
মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী অভিযোগে উল্লেখ করেন নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন আনারস প্রতিকের প্রার্থীর কর্মী সমর্থক দ্বারা প্রতিনিয়তই মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থীর কর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত, প্রচারনায় বাধা প্রদান, সাধারণ ভোটার ও সংখ্যালঘুদের প্রতি ভয়ভীতি প্রদর্শন, কিছু এলাকায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের অবাধে বিচরণ, উস্কানিমূলক বক্তব্য, মোটরসাইকের প্রতিকের পোস্টার-ব্যানার, ফেস্টুন ঝুলাতে বাধা, মোটরসাইকের প্রতিকের অফিস ভাংচুর, প্রিজাইডিং অফিসার-সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার-পোলিং অফিসারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা, নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে আনারস প্রতিকের প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রিন্টু একই ধরনের অভিযোগ মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে করেন।
মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাবি জানিয়েছি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনার অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কিন্তু আনারস প্রতিকের প্রার্থী, কর্মী সমর্থকদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে মোটরসাইকেল প্রতিকের কর্মী এবং সাধারণ ভোটারা ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে আনারস প্রতিকের প্রার্থী রোকনুজ্জামান রিন্টু বলেন, আমার কর্মী সমর্থকরা লাভলুর কোনো কর্মী সমর্থকদের কোনো ধরনের হয়রানি, প্রচারণায় বাধা দেয়নি। তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। মোটরসাইকেল প্রতিকের কর্মী সর্মথকরা আমার কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে নিজ সমর্থক নিয়ে এলাকায় গণসংযোগ, কর্মী সম্মেলন, উঠান বৈঠক করছেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কে বিজয়ী হবে সঠিকভাবে কেউ মন্তব্য করতে পারছেনা।
চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী ছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান নিপন (বই), বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস আলী (টিয়াপাখি) এবং মেহেদী হাসান (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি ফাতেমা খাতুন লতা (কলস) এবং সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা রুমি (প্রজাপতি) এবং উপজেলা মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিনা খাতুন (ফুটবল) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬৩। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৩ হাজার ৭ ও নারী ভোটার ৮২ হাজার ৬৫৬ জন।