বাঘায় পদ্মায় নতুন পানিতে জাল দিয়ে মাছ ধরছেন বাবলু

আপডেট: জুলাই ২৫, ২০২৪, ২:১৭ অপরাহ্ণ


আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী) :


বর্ষা মৌসুমে কোনো কাজ নেই। কী করবে ভেবে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে বাজার থেকে একটি জাল কিনে এনে পদ্মায় মাছ ধরতে যান বাবলু হোসেন। বুধবার (২৪ জুলাই) বেলা ১০টার দিকে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গোকুলপুর পদ্মা নদীতে জাল দিয়ে মাছ শিকার করার সময় কথা হয় তার সাথে।

পদ্মায় নতুন পানি আসায় জাল দিয়ে মাছ ধরছেন বাবলু। দুই সপ্তাহ থেকে পদ্মার নতুনভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন নদীবেষ্টিত পদ্মার চর। নদী ভাঙনগ্রস্ত ও সহায়সম্বলহীন মানুষরাই চরে অবস্থান করে। কিছু কিছু চরে স্থায়ী জনবসতি গড়ে উঠেছে। আবার কিছু কিছু চরে অস্থায়ী বসতি রয়েছে।

বর্ষা মৌসুমে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় নিচু চর এলাকায় স্বাভাবিকভাবে বসবাস করা সম্ভব হয় না। তবুও তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। এরমধ্যে কেউ জাল পেতে আবার কেউ নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে।

পদ্মার মধ্যে ১১টি চর রয়েছে। ওইসব চরের বেশির ভাগ বাসিন্দা ভূমিহীন অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ। তারা প্রতিনিয়ত প্রকৃতির খামখেয়ালি রূপকে বরণ করে বসবাস করছে। আর এদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ শুকনো মৌসুমে কৃষি কাজ আর বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

বাবলু হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সংগ্রাম করছেন। কৃষি কাজ করে সংসার চালায়। ঘরে শুধু বসে থাকলে সংসার চলবে না। তার তিন ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রীসহ ৬ সদস্যের পরিবার। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সংগ্রাম করে চলেছে।

এ সময় কোন কাজ নেই। তার বেশ কিছু জমি ছিল। গত কয়েক বছরে পদ্মা জমিগুলো গ্রাস করে নিয়েছে। পদ্মায় দুই সপ্তাহ আগে নতুন পানি এসেছে। তাই বাঘা হাট থেকে একটি নেট জাল কিনে বাঁশের সাথে জাল বেধে পদ্মা নদীতে মাছ শিকার করেন।
বাবলু রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গোকুলপুর গ্রামের লালু প্রামানিকের ছেলে।

এ বিষয়ে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের মেম্বার আমিরুল ইসলাম বলেন, সে পদ্মায় মাছ শিকারের পাশাপাশি কৃষি কাজ করে সংসার চালায়।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমিজুল আযম বলেন, পদ্মার চরের মধ্যে ১১টি চর নিয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন গঠিত। পদ্মায় নতুন পানি বাড়ছে। এরপরও কেউ নৌকা আবার কেউ জাল নিয়ে মাছ ধরে জীবন যাবন করে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ