বাঘায় পদ্মার চরে সেতুর চেয়ে রাস্তা নিচু করায় দুর্ভোগ

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ণ

আমানুল হক আমান, বাঘা


রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু থেকে রাস্তা নিচু করায় এটি কোন কাজে আসছে না। এতে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।



জানা গেছে, উপজেলা পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের পলাশি ফতেপুর-লক্ষীনগর রাস্তার উপর দুই’শ গজের মধ্যে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৪০ ফুট করে একই সাথে পরপর দুটি সেতু নির্মান করেছেন। এই দুটি সেতু ৬১ লক্ষ ৮০ হাজার ৪০ টাকা মূল্যে নির্মান করা হয়েছে। এই সেতু দিয়ে পলাশি ফতেপুর, দাদপুর, লক্ষীনগর, কালিদাসখালী, চকরাজাপুর, নিচ পলাশি ফতেপুর, উদয়পুর, ফতেপুর পলাশিসহ ৮টি চরের প্রায় ৮ হাজার মানুষ চলাচল করে। সেতুর মুখ সমমান রাস্তায় মাটি না দেওয়ার কারনে এই সেতু দুটি জনগনের চলাচলে কোন কাজে আসছে না।

সেতু দুটির মধ্যে একটি হলো পলাশি ফতেপুর গ্রামের বাবলু ব্যাপারির দোকানের সমানে। আরেকটি হলো তার দুই’শ গজ পশ্চিমে।
পলাশি ফতেপুর চরের বাবলু ব্যাপির, সোনামুদ্দিন মিস্ত্রি, রেজাউল করিম বলেন, সেতুর ওপারে শত শত বিঘা জমি আছে। এই জমিগুলোর ফসল সংগ্রহ করে আনতে ডবল লেবার খরচ দিতে হচ্ছে। সাত বছর আগে সেতু তৈরী করা হলেও সেুতর সমমান রাস্তার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি।

দাদপুর চরের সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি সবজির ব্যবসা করি। এই সেতু দিয়ে পার হওয়া যায় না। ফলে দুই কিলোমিটার পথ ছয় কিলোমিটার ঘুরে পলাশি ফতেপুর হাটে আসতে হয়।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, সেতু নির্মানের পর সেতু সমমান রাস্তা নির্মানের জন্য বিভিন্নস্থানে আবেদন করেও কোন লাভ হয়নি। এছাড়া কৃষি ও গবাদি পশুপালণ নির্ভর এলাকা। এলাকাবাসী নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য প্রতিদিন চকরাজাপুর, পলাশি ফতেপুর বাজারগুলো যেতে হয়। ফলে সেতুর মুখ সমমান মাটি ভরাট না করায় দূর্দশার মধ্যে দিয়ে মানুষ চলাচল করে।

উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মাহামুদুল ইসলাম বলেন, এ সেতুর বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ