রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
বাঘা প্রতিনিধি;
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যার সকল আসামিকে গ্রেফতার করে এবং মেয়র আক্কাছের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে। পরে একই স্থানে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফকরুল হোসেন বিপ্লব, সাবেক বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের উপজেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিল্টন, উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ফাতেমা খাতুন লতা ও বাজুবাঘা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিম হাসান স্বদেশ প্রমুখ।
জানা গেছে, বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদে ২২ জুন চলা মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলা হলে বাবুল আহত হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ জুন বিকালে মারা যান বাবুল। উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে মেয়র আক্কাছকে প্রধান করে ৪৬ জন নামীয়সহ ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে বাঘা থানায় মামলা করেন।
বিক্ষোভ মিছিলের সামনে একটি ব্যানারের পাশাপাশি অসংখ্য প্ল্যাকার্ড লক্ষ করা যায়। সেই প্ল্যাকার্ড নিহত উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের রক্তাক্ত ছবি এবং তার নিচে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী এবং পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজের ক্রস চিহৃ বিশিষ্ট ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এ মিছিলের স্লোগান ছিল ফাঁসি-ফাসি ফাঁসি চাই, আক্কাছ-মেরাজের ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত অফিসার ও বাঘা থানার তদন্ত ওসি সোয়েব খান বলেন, বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ৫ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। তার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য হয়নি।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বাবুল হত্যা মামলায় প্রধান আসামি আক্কাছ আলীসহ এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে গ্রেফতারকৃতরা হলো-জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম, মজনু হোসেন, টুটুল হোসেন, আব্দুর রহমান মহুরি ও স্বপন হোসেন, মারুফ হোসেন, তরঙ্গ আলী, শাজামাল লিটন, নাসির উদ্দিন, মতিউর রহমান, গোলাম মোস্তফা, শফিউর রহমান শফি, রফিকুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।