মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
বাঘায় বিয়ের দুই মাস না যেতেই সাগরিকা খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে নিজ শয়ন ঘরের তীরের সাথে গলায় ওরনা পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সাগরিকা খাতুন আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের জারমান আলীর স্ত্রী। পুলিশ গৃহবধুর শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করেছে।
জানা গেছে, দুই মাস আগে বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশারা গ্রামের আবদুল গাফফার আলীর মেয়ে সাগরিকার সামাজিকভাবে বিয়ে হয় জারমান আলীর সাথে। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভাল চলছিল।
স্বামী-স্ত্রী উভয়ে কথাবার্তা বলে স্বামী জারমান আলী শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনা বাজারে যায়। বাজার থেকে রাত ৮টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের ভেতর থেকে ছিটকানি দেওয়া। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখেন সে তীরের সাথে ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নেওয়া হলে দায়িত্বরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এতে দায়িত্বরত ডাক্তারের সন্দেহ হলে পুঠিয়া থানার পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের এসে জারমানের পিতা নওশাদ আলী ও মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করেছেন।
এ বিষয়ে সাগরিকার পিতা আবদুল গাফফার দাবি করেছেন, মেয়েকে হত্যা করে তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। এর তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি (তদন্ত) সোয়েব খান বলেন, এ বিষয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে পাঠানো হয়েছে। পুঠিয়া থানার পুলিশ দুইজনকে আটক করে থানায় রেখেছেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।