বাঘায় মোবাশ্বিরা নেই, জিপিএ-৫ পাওয়ার খবরে কাঁদছেন তার মা-বাবা

আপডেট: মে ১৩, ২০২৪, ৯:৫৪ অপরাহ্ণ


আমানুল হক আমান, বাঘা:


রাজশাহীর বাঘায় মোবাশ্বিরা ইসলাম মোহনার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল শুনার পর থেকে কান্না থামছেনা বাবা-মা’র। রোববার (১২ মে) প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার ফল শুনার পর থেকে বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে গেছে। ফলাফল পেয়ে অন্য শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলেও মোবাশ্বিরা বাড়িতে বিষাদাগারে পরিনত হয়।
মোবাশ্বিরা ইসলাম মোহনা বাঘা উপজেলার নওটিকা গ্রামের ও নওটিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং পীরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মহিরুল ইসলামের মেয়ে।

জানা গেছে, মোবাশ্বিরা ইসলাম মোহনা নওটিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দেয়। প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এ খবর শুনার পর থেকে বাব-মা’র শুরু হয় কান্নার রোল। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে তার বাড়িতে গেলে কান্না করতে দেখা গেছে।

পরীক্ষা দেওয়ার কয়েকদিন পর মোবাশ্বিরা জিহবাবর নিচে ছোট্ট একটি সিস্ট অস্ত্রোপচার করার জন্য রাজশাহী নগরের আল আমিন নামের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০ মার্চ সন্ধ্যায় তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এরপর থেকে তার অবস্থা অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (ফল প্রকাশের এক মাস ২২ দিন আগে) ভোরে মারা যায়। ২১ মার্চ বিকালে জানাজা শেষে নওটিকা গ্রামে কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মোবাশ্বিরার মা দিলারা ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে রাজশাহী কলেজ দেখে গেল। নম্বর ১ হাজার ২০০-এর বেশিই পেল। কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়া হলো না।
নওটিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফা বেগম বলেন, মোবাশ্বিরার অত্যান্ত মেধামী ছাত্রী ছিল। সে অকালে চলে যাবে কখনো ভাবতে পারিনি। তার ফল দেখে নিজে অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম।

মোবাশ্বিরার বাবা মহিরুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রোপচার করতে যাওয়ার সময় রাজশাহী কলেজ দেখে মাকে বলেছিল, ‘আমি রাজশাহী কলেজে ভর্তি হব।’ আমার নম্বর ১ হাজার ২০০ এর ওপরে থাকবে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জিহবার নিচে ছোট্ট একটি সিস্ট অস্ত্রোপচারে মোবাশ্বিরার মৃত্যু হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ