বাঘায় রোগমুক্তির আশায় বটগাছের কাছে মানত!

আপডেট: ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি


বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের তেনাচুড়া বাউসা গ্রামে তেনাবাঁধা বিশাল এলাকাজুড়ে একটি পুরোনো বটগাছ দাঁড়িয়ে আছে। দূর-দূরান্তের লোকজন এসে এই বটগাছের কাছে রোগমুক্তির আশায় মানত করেন।
বটগাছটি শাখা-প্রশাখা বিস্তৃতি ঘটিয়ে প্রায় ১০ শতাংশ জমি দখল করে আছে। গাছটি কে রোপণ করেছেন তা সঠিক তথ্য জানা যায়নি। কেউ রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্বেও নেই। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত এই গ্রামে লোক আসেন। আস্তানা হিসেবেও পরিচিত না।

এই বটগাছটি অনেক দিন থেকে দেখে আসছেন বলে এলাকার বয়োবৃদ্ধরা জানান। তবে তারা অনুমান করে জানান, কম করে হলেও বটগাছটির বয়স ৩০০ বছর হবে। নির্ধারিত তারিখেও কোনো ধর্মীয় আয়োজন করা হয় না। তবে এই বট গাছে মানুষের অসুখ থেকে মুক্তির জন্য মানত করা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে। বটগাছের সিংহভাগ ডালপালায় তেনাবাঁধা রয়েছে।

শীতকালে বটগাছে নানা প্রজাতির পাখি বাসা বাঁধে। তবে সেতু ভাগ্নে নামের কেবল ব্যবসায়ী বটগাছটি ইট-সিমেন্ট দিয়ে বাঁধাই করে দিয়েছে। গ্রামের মানুষ অবসর সময়ে বটগাছের নিচে বসে সময় কাটান।
এ বিষয়ে চা-বিস্কুটের ব্যবসায়ী মহন আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে এবং দান-খয়রাত করে গাছে তেনা বেঁধে চলে যান।

বাউসা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বলেন, আনুমানিক ৩০০ বছর তো হবেই। তার বাপ-দাদার কাছেও গাছটির বয়স কতো তা জানতে পারেননি বলে তিনি জানান।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version