বাঘায় সূর্যমুখি চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক সালাম

আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৪, ১০:২২ অপরাহ্ণ


আমানুল হক আমান, বাঘা:রাজশাহীর বাঘায় সূর্যমূখী চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক আবদুস সালাম। ২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর গড়গড়ি ইউনিয়নের খানপুর মাঠে ৩ মাস আগে সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের প্রনোদনায় কাবেরি চ্যাম্পিয়ন জাতের হাইব্রিড সূর্যমূখী রোপন করেন।

বাঘায় সূর্যমুখি চাষে জানা যায়, সরকারি প্রণোদনা হিসেবে খানপুর গ্রামের আবদুস সালাম সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে সাড়ে ৩ কেজি সূর্যমুখী বীজ দিয়ে চাষ শুরু করেন। এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছে শত শত মানুষ।

আবদুস সালাম এলাকায় বিভিন্ন নতুন ধরণের ফসল উৎপান করে। এবার তিনি ১৯ কাঠা জমিতে ১০৫ মন আলু পেয়েছে। সেই আলু পুঠিয়ার একটি কোল্ড স্টোরে রাখা হয়েছে। এরপর তার মাথায় চিন্তা আসে নতুন কী ফসল করা যায়। সেই চিন্তা থেকে নভেম্বরের শুরুতে উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে। তাদের পরার্মশে পরীক্ষামূলক ভাবে সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে। কৃষি অফিস সাড়ে ৩ বিঘা জমির জন্য বীজ ও সম্পূর্ণ সার দিয়েছেন। তিনি ৪টা লেবার দিয়ে রোপন করে নিয়েছেন। এরমধ্যে তিনবার সেচ দিয়েছে। এতে খরচ হয়েছে ১৫-১৬ হাজার টাকা।

তিনি আসা করছেন দুই লক্ষ টাকার সূর্যমুখি বীজ বিক্রি করবে। সূর্যমূখী চাষ করতে ৫-৬ মাস সময় লাগে। সূর্যমূখী দেখে অনেকেই বীজ নেওয়ার জন্য আগে থেকে তাকে অর্ডার দিচ্ছেন। নতুন আবাদ হলেও চাহিদা ও লাভ অনেক বেশি এবং চাহিদা দেখে তিনি মনে করছেন বাজারে বিক্রি করতে যেতে হবে না। বাড়ি থেকে এসে ক্রেতারা নিয়ে যাবে।
তার সূর্যমূখী এক নজর দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা এসে ছবি তুলছে। আগামী বছর আরও বড় পরিসরে করার চিন্তা আছে তার।

বাঘায় সূর্যমুখি চাষ বিষয়ে কৃষক আবদুস সালাম বলেন, এখনো যারা বেকার, তারা ঘরে বসে না থেকে সূর্যমুখীর চাষ করলে লাভবান হওয়া যাবে। তবে বাজারে এর বীজের ব্যাপক চাহিদা। বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী চাষ করতে পারলে লাভবান হওয়া সম্ভব। এটার চাহিদা ও দাম অনেক বেশি। সূর্যমুখীর চাষে সরকারিভাবে কৃষকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করা হলে আগামীতে আবাদ আরও বাড়বে।

বাঘায় সূর্যমুখি চাষে এ দিকে লালপুর থেকে ঘুরতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী শরিফ আহমেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সূর্যমূখীর ছবি দেখে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছি। সূর্যমুখী ফুল দেখে খুব ভাল লাগলো। কিছু ছবিও তুললাম।

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ভোজ্যতেলের স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্জনের লক্ষে সরিষার আবাদ যেভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে, সেভাবে সূর্যমূখীর আবাদও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরিষার পাশাপাশি সূর্যমুখীর বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সূর্যমুখী বীজ থেকে একদিকে তেলের চাহিদা পূরণ হবে। অন্যদিকে সৌন্দর্য বাড়ছে, দর্শকরা সূর্যমুখীর ছবি তুলার জন্য খেতে ভীড় করছে। সূর্যমুখীর আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষককে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এ আবাদে তুলনায় রোগ-বালাই কম।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ