রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রী সাগরিকা খাতুন (১৮) আত্মহত্যার তিনদিন পর স্বামী জারমান আলী (২০) বুধবার (১৬ জুলাই) আত্মহত্যা করেছে। নিজ বাড়ি দক্ষিণে আড়ানী ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের এক আমবাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় গৃহবধুর শ্বশুর শাশুড়িকে পুলিশ আটক করছে।
জানা গেছে, দেড় মাস আগে বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশারা-ঘোরলাজ গ্রামের আবদুল গাফফার আলীর মেয়ের সাথে বাঘা উপজেলার আড়ানী ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে জারমান আলীর সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভাল চলছিল।
স্বামী-স্ত্রী উভয়ে কথাবার্তা বলে স্বামী জারমান আলী শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ঝিনা বাজারে যায়। বাজার থেকে রাত ৮টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের ছিটকানি দেওয়া। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখেন সাগরিকা তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে।
তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নেওয়া হলে দায়িত্বরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এতে দায়িত্বরত ডাক্তারের সন্দেহ হলে পুঠিয়া থানার পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের এসে জারমানের পিতা নওশাদ আলী ও ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করেন।
এ ঘটনায় সাগরিকার পিতা গাফফার আলী বাদি হয়ে জারমান আলী ও তার পিতা নওশাদ আলী, মা সানোয়ারা বেগম এবং ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রধান আসামি জারমান আলী পলাতক ছিলেন।
স্ত্রীর হত্যা মামলায় তার ফাঁসি হবে ভয়ে বুধবার (১৬ জুলাই) নিজ বাড়ির ৪০০ মিটার দক্ষিণে ইমাজ আলীর আমবাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ বুধবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ছেলে কারণে অকারণে বিয়ের দেড় মাস না হতেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় জারমান আলীকে প্রধান আসামী করে মেয়ের পিতা একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় তার ফাঁসি হবে ভয়ে সেও আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্চে। এরপরও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে পাঠানো হয়েছে।#