রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৯ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
আমানুল হক আমান, বাঘা
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় কেন্দ্রীয়সহ অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৬৫ বছর পরেও শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয় নি। উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শাহদৌলা ডিগ্রি কলেজের শহীদ মিনার কেন্দ্রীয় হিসেবে ব্যবহার করেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের স্মরণে ভাষা দিবসে কোথাও বাঁশ, কাঠ, কোথাও কলাগাছ ও মাটি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এবারেও একইভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে সেখানেই পুষ্পমাল্য অর্পণ করবে উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
‘মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা, এই বাংলা ভাষার জন্য প্রতি বছর ভাষা দিবস এলেই শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও নানা আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে শহীদদের স্মরণে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হয়। উপজেলায় ১৩৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৩৩ টিতে শহীদ মিনার রয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়/কলেজ ও মাদ্রাসাসহ ৬৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ১৫টি প্রতিষ্ঠানে। মাদ্রাসা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনেও শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয় নি বলে জানা গেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী বলেন, যে প্রতিষ্ঠানে শাহীদ মিনার নেই ওই সকল প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার তৈরী করে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, শহীদ মিনার তৈরী করতে বেশ কিছু টাকা ব্যয় হয়। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে শহীদ মিনার তৈরী করা সম্ভব হয় নি। প্রর্যায়ক্রমে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার তৈরীর বিষয়ে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো। উপজেলার কেন্দ্রীয় কোনো শহীদ মিনার না থাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শহীদদের স্বরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে হয়। তিনি উপজেলা চত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মানের দাবি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নেই। শাহদৌলা ডিগ্রি কলেজের শহীদ মিনার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে এ বছরের মধ্যে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। আর প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।