বাঘায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৭, ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ

বাঘা প্রতিনিধি


রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বাজুবাঘা ইউনিয়নের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাজুবাঘা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ভিজিডি’র ২০৬টি কার্ডের মধ্যে ১৭০টি কার্ড তিন থেকে চার হাজার টাকার বিনিময়ে তালিকাভুক্ত করেছেন। এর মধ্যে আহম্মদপুর গ্রামের জারমান আলী, ঢাকাচন্দ্রগাথী গ্রামের রেজাব আলী ও সায়েস্তা গ্রামের ফজলুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এ অভিযোগে। এছাড়া টাকা দিতে না পারায় ভিজিডি’র কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এমন ১০ জনের নামও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা করা হয়েছে, সরকারি বরাদ্দের উন্নয়নমূলক কাজ না করে, ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছেন চেয়ারম্যান। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন তহবিল থেকে গ্রাম অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তার প্রকল্প টিআর, কাবিখা, এডিপি, রাজস্ব এসপি, শরীক প্রকল্প ও উপজেলা তহবিলের এত শতাংশ অর্থ লুটপাট করেছে। ভিজিডি, ভিজিএফ ও কর্মসৃজন কর্মসূচির কার্ডের জন্যও টাকা নেয়ার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাজুবাঘা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দুলাল হোসেনের স্ত্রীসহ মনোনীত পাঁচজন সদস্য ভিজিডি কার্ড বণ্টন কমিটিতে রয়েছে। তাদের ৬৫টি কার্ড দেয়া হয়েছে। দুলালের দাবি ছিল আরো ৬টি কার্ডের। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিক্তিহীন। আর এ কমিটি গঠন করে প্রকল্পের কাজ নিয়মমাফিক করা হয়েছে। কোন কিছুতেই অনিয়ম করা হয় নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।