নিহত মেহেদি হাসান লিখন (ইনসেট), লিখনের মা হাসনা বানুর আহাজারি
বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় খেজুরের গাছঝোড়া বাটাল দিয়ে বেসরকারি কোম্পানির কর্মচারী লিখন হোসেনকে (২৬) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। লিখন হোসেন উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে।
জানা গেছে, বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের নিচে পদ্মার জলাশয়ে মাছ ছাড়ে লিখনসহ তার পরিবার। একই গ্রামের বাচ্চু হোসেনের ছেলে নাসিফ হোসেন (৩৫) ওই জলাশয় নিজের দাবি করে মাছ চাষে বাধা দেয়। এ নিয়ে সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে লিখন হোসেন বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আগের দিনের (সোমবার) জের ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে লিখনের মা হাসেনা বানু বলেন, আমার ছেলে ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে। গত রোববার ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছে। আমার প্রতিবেশি বাচ্চুর ছেলে নাসিফ হোসেনের সাথে সোমবার দুপুরে পদ্মা নদীর ধারে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে বাড়ির পাশে একা পেয়ে খেজুরের গাছ ঝোড়া বাটাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও কিশোরপুর গ্রামের আবদুর কাদের মোল্লা বলেন, পরস্পর তারা প্রতিবেশি। লিখন হোসেনের কোনো জমি নেই। পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় জলাশয়ে কিছুদিন আগে লিখন মাছ ছাড়ে। পদ্মার ধারে নাসিফ হোসেন ওই জলাশয় তার দাবি করে মাছ চাষ করতে নিষেধ করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে খেজুরের গাছ ঝোড়া বাটাল দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি তদন্ত সবুজ রানা বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।