সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
বাঘা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘায় জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে ককটেল নিক্ষেপে দুই পুলিশ সদস্যসহ উপজেলা পরিষদের এক নারী কর্মচারী আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বাঘা পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস সরকার গতকাল সোমবার দুপুরে আবদুল আজিজ নামের এক যুবলীগ কর্মীর হয়ে স্বল্পমূল্যে জমি রেজিস্ট্রি করতে চায়। এই নিয়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি স্বপন সরকারের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এসময় কবির হোসেন নামের এক যুবলীগ কর্মী উত্তেজিত হলে তাকে মারপিট করলে আহত হয়।
এদিকে কবির হোসেন আহতের খবর তাৎক্ষণিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কাউন্সিলর আবদুল কুদ্দুসের বাড়ির সামনে বাস টার্মিনাল এলাকায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল লাটিসোটা নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসের দিকে ধাওয়া করে। এসময় পুলিশ বাধা দিলে কাউন্সিলরের লোকজন ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় বাঘা থানার পুলিশ কনস্টেবল মজিবুর রহমান, রয়েল হোসেন ও জরিনা বেগম নামের উপজেলা পরিষদের এক সরকারি কর্মচারী গুরুত্বর আহত হয়েছে। পরে রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স পৌর কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমান লাঠি উদ্ধার করেন।
বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর আবদুল কুদ্দুস সরকার বলেন, দলিল লেখকরা প্রত্যেক দলিলের ক্ষেত্রে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা নেয়। আমি এই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
বাঘা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি স্বপন সরকার বলেন, নিয়ম অনুয়ায়ী দলিল প্রতি টাকা নেয়া হয়। অতিরিক্ত কোনো টাকা নেয়া হয় না। তবে আবদুল কুদ্দুস সরকার রেজিস্ট্রির খরচ না দিয়েই দলিল করতে চায়। এই নিয়ে তার লোকজন সমিতির সদস্যের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মাহামুদ বলেন, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছে। আবদুল কুদ্দুস সরকারের লোকজন দলিল লেখকদের ওপরে হামলা চালালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরে আবদুল কুদ্দুসের বাড়ি তল্লাশী করে বিপুল পরিমান লাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষকে ডেকেছি। এই বিষয়ে উভয় পক্ষের কাছে জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।