বাঘায় বাড়ছে শীত জমছে বাজার

আপডেট: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬, ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ

আমানুল হক আমান, বাঘা



বাড়ছে শীত। বেলা ১১টার আগে রোদের দেখা মিলছে না। সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা ও বিছিয়ে দিচ্ছে কুয়াশা। শীত মোকাবেলায় শুরু হয়েছে গরম কাপড়ের হাট। বাজারে পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়েছে এ গরম কাপড়। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জমজমাট হয়ে উঠেছে শীতবস্ত্রের বাজার।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিপণি বিতানগুলোতে শীতের পোশাক কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এ বছর আগে থেকে শীত নামায় এলাকায় ফুটপাত ও রাস্তার পাশে ফুটপাতে ও ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। উপজেলা বাঘা ও আড়ানীর মার্কেটের প্রায় সব দোকানেই কম-বেশি রাখা হয়েছে শীতের পোশাক। ক্রেতাদের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে বিক্রেতারা সাজিয়েছেন শীতের পোশাকের পসরা। উলের তৈরি সোয়েটার, চাদর, জ্যাকেট, ব্লেজার, মাফলার, টুপি, হাতমোজা সবই মিলছে দোকানগুলোতে। বিক্রিও চলছে পুরোদমে।
দোকানিরা জানান, নভেম্বরের শেষ সপ্তা থেকে শুরু হয়েছে শীতবস্ত্রের কেনাবেচা। আর এক সপ্তা ধরে জমে উঠেছে খুচরা বিক্রির বাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা। আড়ানী পৌর বাজারের বুলবুল সুপার মার্কেটের নূপুর গার্মেন্সের মালিক নাসির উদ্দিন বলেন ‘শীত আসার আগে দোকানে শার্ট-প্যান্ট ও টি-শার্ট বিক্রি হতো। কিন্তু শীতের সময় গরম কাপড় বিক্রি শুরু করেছি। তবে দামে সস্তা হওয়ায় নিম্নবিত্তের ক্রেতাদের কাছে কাপড়ের চাহিদা বেশি।
মেয়েদের সোয়েটারের দাম মানভেদে ১শ থেকে ৫শ টাকা, ছেলেদের সোয়েটার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ২৫০ টাকা থেকে ১৫শ টাকা, বাচ্চাদের সোয়েটার ১০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, হাতের মোজা ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। এছাড়া মানভেদে সাধারণ টুপি ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকা ও মাফলার ৫০ থেকে ২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শীতের কাপড়ের পাশাপাশি বিক্রি বেড়েছে কম্বলের।
বিশ্বরুপা ট্রেডার্সের মালিক আমিরুল ইসলাম জানান, বিক্রি শুরু হয়েছে কম্বলের। তাই প্রতিবারের মতো এবার কম্বল তুললাম দোকানে। বিক্রি ভালো হচ্ছে। মানভেদে বিভিন্ন কম্বল ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বাঘা বাজারের ফুটপাতের ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বলেন, গত বছরে চেয়ে এবছর শীতের আবির্ভাব আগে থেকেই শুরু হয়েছে। তাই শীতবস্ত্রের বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হয়েছে।
আড়ানী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের শিরিন সুলতান এসেছিলেন শীতের কাপড় কিনতে। গতকাল কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে শীত নামাই গরম কাপড়ের দামও বেড়ে গেছে। তাই কাপড় কিনতে বাজারে এসেছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, ইতামধ্যে কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে শীত মোকাবেলা করার প্রস্তুতি রয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ