বাঘায় বিদ্যুতের লোডশেডিং অতিষ্ঠ মানুষ

আপডেট: জুন ১০, ২০২৩, ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:


রাজশাহীর বাঘায় প্রতিদিন ঘন ঘন লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। লোডশেডিং-এ টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটারসহ মূল্যবান ইলেকট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় দুইটি বিদ্যুৎ গ্রাহক পরিচালনা অফিস। একটি আড়ানী ও অপরটি বাঘা। উপজেলায় প্রায় ৩৯ হাজার গ্রাহক। ৮৫টি গ্রামে বিদ্যুায়িত রয়েছে। গভীর নলকুপ ৩৫টি, অগভীর নলকুপ ৫০টি, ছোট বড় শিল্প ১৭০টি।

এরমধ্যে আড়ানী অভিযোগ কেন্দ্রের অধীনে ৩৭টি গ্রামে ১৯ হাজার গ্রাহক। গভীর নলকুপ ১৫টি ও অগভীর নলকুপ ২০টি, ছোট বড় শিল্প ৮৫টি।
বাঘা এরিয়া অফিসের অধীনে ৪৮টি গ্রামের ৩০ হাজার গ্রাহক। গভীর নলকুপ ২০টি ও অগভীর নলকুপ ৩০টি, ছোট বড় শিল্প ৯০টি। উপজেলায় ৩৯ হাজার গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১০ থেকে সাড়ে ১০ মেগাওয়াট। সরবরাহ মাত্র চার থেকে সাড়ে চার মেগাওয়াট। প্রতিদিন ঘাটতি প্রায় ছয় থেকে সাড়ে ছয় মেগাওয়াট। ঘাটতি পুরণের কারনে অনবরত লোড-শেডিং করাচ্ছে, রাত নেই, দিন নেই, সময়ে অসময়ে।

উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় সরকারী, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় দুই শতাধিক অফিস রয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীরাসহ বিদ্যুৎতের লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিং এর কারণে প্রতিদিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে এবং প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে। যতদিন যাচ্ছে ততই অবনতি ঘটছে। তবুও কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

আড়ানী বাজারস্থে স্বর্ণা কালার ডিজিটাল স্টুডিওর মালিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে ব্যবসাতে মার খাচ্ছি। প্রতি সপ্তাহে প্রায় কম্পিউটার দুই/এক বার নষ্ট হচ্ছে। এতে ব্যবসায় অনেক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

আড়ানীর ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী সুদর্শন কুমার জানান, বিদ্যুতের এই অবস্থার জন্য ব্যবসা বন্ধের উপক্রম। এবং হাজার হাজার টাকা ক্ষতি সাধিন হচ্ছি।

আড়ানী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ইনচার্জ সৈয়দ সরোয়ার্দী জানান, এই অফিসের অধীনে দুটিটি ফিডার লাইন আছে, যতটুকু এ অফিসের জন্য বরাদ্দ ততোটুকু দুটি ফিডার লাইনে পর্যায়ক্রমে ভাগ করে দিয়ে চালায়। এছাড়া বাঘায় পাঁটটি ফিডার লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিচালিত হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ