শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
আমানুল হক আমান, বাঘা
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় শীতের সবজি চাষের ধুম পড়েছে। এরই মধ্যে সবজি বাজারে ব্যাপক আকারে আসতেও শুরু করেছে। আগাম শাকসবজি বাজারে তুলতে পারলে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব, এমন চিন্তা মাথায় রেখে চারা তৈরি ও সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। শরতের শেষ দিকে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়ার এমন পালাবদলে চাষাবাদের ধরনও পাল্টেছে।
উপজেলার আড়ানী ও বাঘা পৌর এলাকাসহ বাউসা, বাজুবাঘা, গড়গড়ি, মনিগ্রাম, পাকুড়িয়া, আড়ানী, চকরাজাপুর ইউনিয়নের কিছু অংশে বড় পরিসরে শাকসবজির চাষ হয়। সাম্প্রতিক সময়ে চাষিরা সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় শীতের সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। শীতে বাজারে বিক্রি করে বেশি টাকা আয়ের উদ্দেশে এখন চাষিরা জমিতে শীতকালীন শাকসবজির চারা বপণ ও পরিচর্চার কাজ করে যাচ্ছেন। যেসব শাকসবজি চাষ হয় সেগুলো হলো আগাম আলু, মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, ঢেঁড়স, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক ও পেঁয়াজ। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা মেতেছেন শীতকালীন সবজি চাষে।
উপজেলার খুচরা বাজারে নতুন সবজির মধ্যে প্রতি কেজি বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পালংশাক ৩০ থেকে ৩৫ টাক, মুলা ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে। এদিকে উপজেলার পাইকারি বাজার বাঘা, আড়ানী, চকরাজাপুরসহ বিভিন্ন বাজারের সবজি পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে ট্রাকযোগে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।
কুশাবাড়িয়া গ্রামের সবজি চাষি আমিরুল বলেন, শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। সে কারণে শীতকালীন শাকসবজি চাষাবাদ করছি। ১৫ কাঠা জমিতে মুলা চাষ করেছিলাম। ইতোমধ্যে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। শীতকালীন সবজি বিক্রি করে ভালো লাভ হচ্ছে। আড়ানী হাটের পাইকারি ক্রেতা বাদশা বলেন, এখান থেকে এসব শাকসবজি কিনে ট্রাকযোগে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বাজারগুলোতে পাইকারি বিক্রি করে থাকি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা বেগম বলেন, উপজেলায় প্রায় সারা বছরই সবজি চাষ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সবজি চাষ হয় পদ্মার চরাঞ্চল, আড়ানী, বাউসা এলাকায়। উপজেলার বারো মাসই কৃষকরা বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে থাকেন। কৃষকরা নার্সারি করে সবজি চাষ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে আগাম জাতের সবজি চাষ হয়েছে, শিম, পালংশাক, করলা। হাটবাজারে পালংশাক বিক্রি শুরু হয়েছে। ভালো ফলনের আশায় সবজি চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।