বাঘা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আত্মগোপনে!

আপডেট: আগস্ট ১১, ২০১৭, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ

বাঘা প্রতিনিধি


রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাসদ নেতা শফিউর রহমান শফি গম আত্মসাতের মামলায় গা ঢাকা দিয়েছেন। অপরদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জামায়াতের উপজেলা সভাপতি মাওলানা জিন্নাত আলী নাশকতার মামলায় হাজত বাস করছেন।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও জাসদ নেতা শফিউর রহমান শফির নামে গম আত্মসাতের মামলা হয়। আকস্মিকভাবে এ মামলার খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তিনি চরম বিপাকে পড়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভাইস চেয়ারম্যানের এক ঘনিষ্ঠজন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে বাঘা উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ ইনু)’র জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান শফি তৎকালিন বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সময় ১৫ টন গম আত্মসাতের অভিযোগে রাষ্ট্র বাদি হয়ে তার নামে আদালতে একটি মামলা করে। মামলার সাক্ষী ছিলেন তৎকালিন বাজুবাঘা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্য এবং গাওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তহিদুল ইসলাম। এ মামলায় ২০০১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালিন ডিভিশনাল স্পেশাল জজ আবদুুর রাজ্জাক ৯১ হাজার টাকা জরিমানাসহ তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরে শফিউর রহমান শফি উচ্চ আদালতে পরপর চার বার আপিল করেন। উচ্চ আদালত চারবারই তাকে ৬ মাসের জন্য জামিন দেন। কিন্তু ২০০৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতের শুনানিতে তিনি উপস্থিত না হলে আদালত পূর্বের রায়ই বহাল রাখেন। ১৩ বছর পর গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এদিকে ৮ জুলাই আমোদপুর জামে মসজিদে বসে গোপন বৈঠক করার সময় এবং নাশকতার মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জামায়াতের সভাপতি মাওলানা জিন্নাত আলী। তার নামে রয়েছে পুলিশকে মেরে অস্ত্র কেড়ে নেয়াসহ তিনটি নাশকতা ও একটি অস্ত্র মামলা। সব মিলে একদিকে চেয়ারম্যান অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান দুজনেরই এমন কর্মকাণ্ডে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে তাদের এসব কর্মকাণ্ডে বিপাকে পড়েছেন উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। উন্নয়নমূলক কাজ শেষে ঠিকাদাররা বিল ভাউচার ও কর্মচারীদের বেতন উত্তোলন করতে পারছে না বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাসদ নেতা শফিউর রহমান শফির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আছি। আমি কোন আত্মগোপনে নেই। আমার সাঙ্গে সার্বক্ষণিক এলাকার লোকজনের যোগাযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য নেই বলে জানান, বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মাহমুদ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত মামলার ভাইস চেয়ারম্যানের যাবতীয় কাগজ একটি মাধ্যম দিয়ে দেখেছি। তবে তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তিনি সাজা পাবেন। এছাড়া তার মামলা উচ্চ আদালতে বিচাররাধীন রয়েছে। স্থানীয়ভাবে করার কিছুই নেই।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ