বাচ্চার ওষুধ কিনতে বলায় স্ত্রীকে রড পেটালেন স্বামী

আপডেট: মে ১০, ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীর পুঠিয়াতে মাদকাসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননী স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বাচ্চার ওষুধ কিনে দিতে বলায় গৃহবধূকে রড দিয়ে পিটিয়েন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই গৃহবধূর বাবা পুঠিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ।

গেল মঙ্গলবার (৬ মে) পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাধনপুর গ্রামে স্ত্রী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম শহিদুল ইসলাম টুটুল। তার বাবার নাম হাফিজুল ইসলাম। তারা সাধনপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহত গৃহবধূর নাম শারমিন বেগম। তার বাবার নাম রহিদুল ইসলাম। তাদের বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার কয়াজামপুর গ্রামে।

রহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেক করেন, শহিদুল ইসলাম টুটুল আমার মেয়েকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নিয়মিত নির্যাতন করে। বর্তমানে আমার মেয়ের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। আমার মেয়ের জামাই মাদকাসক্ত ব্যক্তি। সে আমার মেয়েকে গালিগালাজ করে। তার বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছে ওই গ্রামের লোকমুখে শোনা।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লোহার রড দিয়ে আমার মেয়েকে দেহের বিভিন্ন যায়গায় আঘাত করলে আমার মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং চিৎকার করে। এর আগেও আমার মেয়েকে কয়েকবার মারধর করে করেছে। আমার মেয়ে বর্তমানে গুরুতর। আমার মেয়েকে আমার বাড়িতে আসতে দিচ্ছে না এবং বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে।
গৃহবধূ শারমিন বেগম জানান, আমার স্বামী মাদকাসক্ত ও পরকীয়াতে আসক্ত। আমায় ঠিকভাবে ভরণ পোষণ করে না। বাচ্চার ওষুধ কিনে চেয়েছি সেজন্য লোহার রড দিয়ে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমার আট বছরের বড় সন্তানকে তাকে জিম্মি করে রেখেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, এটা আমার পারিবারিক ব্যক্তিগত বিষয়। আমি কোন মতামত দিতে পারবো না।
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ