বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, ২:১৫ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


সারাদেশের ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে আপাতত চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশের চার প্রতিষ্ঠান এক কোটি করে ডিম আমদানি করতে পারবে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী এ বিষয়টি নিশ্চিত করে

বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশের চার প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।
হায়দার আলী আরও বলেন, আমদানি করা ডিম লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। এজন্য দেশের বাজারে ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করবে ও বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে।
এদিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় আমিষের দাম বাড়ার মধ্যে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের প্রভাব পড়েনি রাজধানীর কাঁচাবাজারে।

ওইদিন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা হওয়ায় আমরা এই দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। প্রতি পিস ডিম এখন থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করা হবে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ সময়ে ডিম আমদানির সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, বাজার পর্যালোচনা করে সীমিত আকারে ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হবে। যদি ডিম প্রতি পিস ১২ টাকায়ই খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করা হয়, তাহলে আমদানির বিষয়টি অত গুরুত্ব পাবে না, সীমিত আকারে করা হবে। কিন্তু দাম ১২ টাকায় সীমিত না থেকে বাড়ানো হয়, কিংবা সুযোগ নেয়া হয়, তাহলে বেশি করে আমদানি করা হবে। বাজার ঠিক রাখার জন্যই আমদানি করা হবে।
এদিকে রবিবার কলকাতায় এক হালি মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ২৬ রুপিতে (৩৪.২৯ টাকা)। প্রতি পিসে যার দাম আসে সাড়ে আট টাকা।- সূত্র : বাংলানিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ