রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পাবনা জেলা শাখার আয়োজনে দিনব্যাপী এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। টেবুনিয়া সামছুল হুদা ডিগ্রি (অনার্স) কলেজের এ কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক উবায়দুল্লাহ্ইবনে আলী।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০ টায় বৃক্ষরোপণ পূর্বক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাপা পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ও সামছুল হুদা ডিগ্রী কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ্যাড. তোসলিম হাসান সুমন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক-কলামিস্ট আব্দুল হামিদ খান।
আরও বক্তব্য দেন সামছুর হুদা ডিগ্রী কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহিদ হাসান রুমি, মাসুমদিয়া জোবেদা খাতুন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: নজরুল ইসলাম বাবু ও বাপা পাবনা জেলা শাখার সদস্য মুহম্মদ রবিউল আলম। অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো: আসাদুজ্জামান খোকন। এসময় কলেজের শিক্ষক- শিক্ষিকাবৃন্দের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল প্রশংসনীয়। উল্লেখ্য, বিশাল এই কলেজ চত্বরে এক প্রান্তে ৩২টি উন্নতজাতের আমগাছ রোপণ করা হয়।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিপূর্ব এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক উবায়দুল্লাহ ইবনে আলী বলেন, “পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনন্য। পৃথিবীকে ঊষ্ণতা থেকে রক্ষা করতে গাছের বিকল্প কিছু হতে পারে না। তাই সবাইকে বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে দেশটাকে সবুজায়নে ভরে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এদেশটা আমাদের, এ ধরিত্রীকে রক্ষা করে পরবর্তী প্রজন্মের বাসপোযোগী করে রাখার দায়িত্বও আমাদের।”
স্বাগত বক্তব্যে বাপা পাবনা জেলা শাখার সেক্রেটারি সাংবাদিক আব্দুল হামিদ খান বলেন, “এখানে আজ যে সকল নতুন জাতের আমগাছ রোপণ করা হলো সেটি থেকে অক্টোবার মাস পর্যন্ত আম পাওয়া যাবে, আবার কোনটি বছরে তিনবারও ফলন দিবে। এসব গাছ রোপণের উদ্দেশ্য হলো উন্নত জাতের লেট ভ্যারাইটিগুলো পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া। এতে করে সারাবছর পুষ্টির চাহিদা মিটবে।”
সভাপতির বক্তব্যে বাপা পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ও সামছুল হুদা ডিগ্রী কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ্যাড. তোসলিম হাসান সুমন কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এই ৩২টি গাছের একটি গাছও যাতে মারা না যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব গাছের ফল আপনারাই খাবেন এবং বাড়িতেও নিয়ে যাবেন। তাই এ গাছগুলোকে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করার দায়িত্বও আপনাদের।”