মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক
বায়োটেকনোলজি শিল্পকে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলে যাবে বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু রেজা। রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বিভাগের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এই দাবি করেন।
অধ্যাপক আবু রেজা বলেন, আমরা আমাদের এই প্রোগ্রামটাকে বলছি বায়োটেক মুভমেন্ট ২০২৪। এটা আামদের রাবির জিইবি বিভাগ থেকে শুরু হয়েছে। এটার মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশে বায়োটেক শিল্পের যে অমিত সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা জনগনের সামনে তুলে ধরা এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি’র (এনআইবির) ডিজি হিসেবে একজন বায়োটেকনোলজিস্টকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো।
এতোদিন নন বায়োটেকনোলজি’র লোকজন এনআইবির ডিজি হিসেবে ছিলেন। ফলে, এই সেক্টরে কোনো উন্নতি হয়নি। বায়োটেকনোলজি এমন একটি সম্ভাবনাময় জগৎ, এই শিল্পকে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এনআইবি মূলত বায়োটেকনোলজির জন্যই প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সেখানে মাত্র ৮ শতাংশ চাকরি বায়োটেকনোলজির শিক্ষার্থীরা পায়। বাকিগুলো কোটা ও দুর্নীতির মাধ্যমে অন্য ইনস্টিটিউট বা, বিভাগের শিক্ষার্থীরা পেয়ে থাকে। বায়োটেকনোলজি ফিল্ডের কেউ এনআইবির কর্ণধার না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থার অবসান হবে না। সরকার এবার একজন বায়োটেকনোলজিস্টকে ডিজি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু নতুন ডিজি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হওয়ার ১৫ দিন হয়ে গেলেও তাকে অফিসে জয়েন করতে দেওয়া হয়নি। আমরা চাই, সরকারের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন যেন বহাল থাকে এবং নতুন ডিজিকে তার পদে জয়েন করার পরিবেশ করে দেওয়া হোক।
শিরা হাওলাদার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এনআইবি বায়োটেকনোলজি বিষয়ে কাজের জন্য প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সেখানে প্রকৃত বায়োটেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দেওয়া হয় না, অন্যান্য বিভাগ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়। আমরা সেখানে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমরা এটার অবসান চাই। আর এনআইবির নবনিযুক্ত পরিচালককে স্বাভাবিকভাবে তার কাজ করতে দেওয়া হোক।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে জিইবি বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।