শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কথা থাকলেও রাজশাহীতে তা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি না গিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়েই এ দায়িত্ব সেরেছেন। সেখানে ভোটার হতে আগ্রহীদের ডেকে নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত ২৫ জুলাই থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। গতকাল বুধবার তা শেষ হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ পাওয়া গেছে, নির্বাচন অফিসের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ করেননি। ফলে এবারও অনেকেই নতুন ভোটার হতে পারেননি।
নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সোবহান লিটন জানান, বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন অফিসের লোকজন তা করেননি। তারা কিছু বাড়ি গেছেন, কিছু বাড়ি যাননি। যেভাবে পেরেছেন, সেভাবে কাজ শেষ করে দিয়েছেন। এ কারণে তাঁর ওয়ার্ডের অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। এখন ভোটার হতে আগ্রহীরা তাঁর সাথে যোগাযোগ করছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে তিনি নির্বাচন কর্মকর্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাম অন্তর্ভুক্তি করার চেষ্টা করছেন বলেও জানান।
একই অবস্থা নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের নামেমাত্র ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা প্রতিটি বাড়িতে যাননি। নামী দামী মানুষের বাড়িতে গেছেন। কিন্তু অলিগলির ভেতরে ছোটখাটো বাড়িগুলো যাননি। ওই ওয়ার্ডেও শিরোইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছোট বনগ্রাম সরকারি বিদ্যালয়ে বসে তারা তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ফলে অনেকেই বাদ পড়েছেন। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তথ্য হাল নাগাদের কাজ করা হয়েছে সাবিত্রী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বসে। এভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডেই কোনো না কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বসেই তথ্য হালনাগাদের কাজ শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার রাজু আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন অফিসের ুলোকজন বাড়ি বাড়ি যাননি। হয়তো কোনো বাড়িতে গিয়ে একবার কলিং বাজিয়ে সাড়া পাননি। তাতেই ফিরে গেছেন। কিন্তু শহরের বাড়িগুলোতে তো একবার ডেকে কাউকে পাওয়া যাবে না। কিন্তু তারা দায় সারতে এমনটিই করেছেন। ফলে অনেকেই ভোটার হতে পারেনি।
নগরীর পাঠানপাড়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল আলম জানান, জুমার নামাজের পর মসজিদে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তথ্য হাল নাগাদ করার। নতুন ভোটার হওয়ার জন্য তার বাড়ির লোকজন অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু কেউ আসেনি। তাই ভোটার হতে পারেননি।
জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, আমরা শতভাগ সফল হতে পারিনি। তবে চেষ্টা করা হয়েছে সব বাড়িতেই পৌঁছানোর। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতা ছিল। ডাক দিলেও অনেকেই আবার বাড়ির দরজা খুলতে চান না। অনেকেরই বাড়ির দরজা থাকে লাগানো। এ জন্য হয়তো কেউ বাদ পড়তে পারেন। তবে বাদ পড়াদের পরবর্তীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।