শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে বিএনপির দুই গ্রুপের হাতাহাতি-সোনার দেশ
রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও সদস্যপদ নবায়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। ছাত্রদলের দুই গ্রুপের এ সংঘর্ষে কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নগরীর তেরোখাদিয়ায় এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত জুনে রাজশাহী জেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতেই ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরের দিন মহানগর বিএনপির কর্মী সম্মেলনেও একই ঘটনা ঘটে।
গতকাল বিকেলে জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন। অনুষ্ঠানে দলের রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম মার্শালসহ স্থানীয় শীর্ষ নেতারাও অংশ নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠান শুরুর পর একের পর এক নেতা বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফায়সাল আহম্মেদ ডিকো বক্তব্য দিতে চান। কিন্তু তাকে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি। এ সময় তার অনুসারিরা অনুষ্ঠানস্থলে হট্টগোল শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন।
এ সময় ছাত্রদলের অপর অংশের নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা দেন। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে কমিউনিটি সেন্টারের বাইরেও। দুই পক্ষের মধ্যে ঘটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে অন্তত তিন নেতাকর্মী আহত হন। এর কিছুক্ষণ পর সংঘর্ষ থামে। তবে এ সময় পুলিশ কাউকে আটক করেনি।
নগরীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষ ঘটেছে কমিউনিটি সেন্টারের ভেতরে। পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে বাইরে। তাই কাউকে আটক করা যায়নি। তবে পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এদিকে ছাত্রদলের এ সংঘর্ষের মাঝেও বিএনপির এ অনুষ্ঠান চলে। তবে অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি খুবই কমে যায়। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে সাবেক সাংসদ ফজলুল হক মিলন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সমালোচনা করেন। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান শেষ হয়।