বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার নাইকো মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ২:১৪ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিতে বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল বাকী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন। তবে সাক্ষ্যগ্রহণে প্রস্তুত নয় জানিয়ে সময় চান দুদক কৌশলী মোশাররফ হোসেন কাজল। তাই আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য জিয়া উদ্দিন জিয়া এ তথ্য জানান।

গত ১২ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী মাহবুবুল আলম তার জবানবন্দি শেষ করেন। গত ১৭ অক্টোবর তাকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর গত বছর ৩০ ও ৩১ অক্টোবর রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশের দুই সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ এই মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলার চার্জ গঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। একই বছর ৩০ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর থেকে মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

মামলার অপর আসামিরা হলো বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম।

এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে আসামিদের মধ্যে সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায়ই চিকিৎসাধীন।- বাংলানিউজ