নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীতে দিনদুপুরে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর ভদ্রা রেলক্রসিং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, মন্টুর পেটে ও কপালে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। দুপুর পৌনে ২টা নাগাদ তাকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখানে মন্টু নিজেই তার পরিচয় দেন। জরুরি বিভাগ থেকে তাকে সার্জারি বিভাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত। তবে বিভাগীয় প্রধানের তত্ত্বাবধানে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বজলুর রহমান মন্টুর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলা যায়নি। নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘কে বা কারা কেন ছুরিকাঘাত করেছে, সেটা বলতে পারব না। এটা মন্টুর কাছ থেকেই শুনতে হবে। এ ব্যাপারে পুলিশও খোঁজ নিচ্ছে।’
বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ভদ্রা এলাকায় গিয়েছিলেন। স্থানীয় লোকজন তাকে জানিয়েছেন, দুপুরে রেললাইনের পাশে চায়ের দোকানে বসে বিএনপি নেতা মন্টুসহ ২০-২৫ জন ব্যক্তি কোনো একটা বিষয়ের আপস-মীমাংসার ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন। তখন সেখানেই ঘটনাটি ঘটে।
ওসি বলেন, ঘটনাস্থলটা পড়েছে রেলওয়ে থানার ভেতরে। রেলওয়ে থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে। আমাদের কাছেও যদি অভিযোগ করে, সে অভিযোগ নেব। এই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে।