বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের নামে হত্যা মামলা

আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২৪, ২:০০ অপরাহ্ণ

শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

সোনার দেশ ডেস্ক :


২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ এই মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপেক্ষমাণ রেখেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ, পিলখানা বিদ্রোহ মামলার আইনজীবী মোশারফ হোসেন, সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম ও হাসানুল হক ইনু।

এছাড়া ২০১০ সালের জুলাইয়ে দায়িত্বরত কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার এবং কারাগারের চিকিৎসকদেরও আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আজিজ আহমেদকে। শেখ হাসিনাকে করা হয়েছে চার নম্বর আসামি।
মামলায় বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করা হয়।

বাদী অভিযোগ করেন, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ডিএডি হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আসামি করে আটক করা হয়। ২০১০ সালের ২৯ জুলাই তার বাবাকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে বাদী উল্লেখ করেন।
তথ্যসূত্র: রাইজিংবিডি

 

Exit mobile version