শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
লোকসভা নির্বাচনের পর বিধানসভা উপনির্বাচন। রাজ্যে চার কেন্দ্রে চারটিতেই এগিয়ে তৃণমূল। গণনা এগোনোর সঙ্গে ব্যবধানও বাড়াচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। মানিকতলা কেন্দ্রে প্রায় ১০ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডে।
শহরের এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ভোট লুটের অভিযোগ করলেও তার পাল্টা আক্রমণ করেছেন সুপ্তি পাণ্ডে। এদিন তিনি বলেন, ‘ভদ্রলোক বারবার পরাজিত হন। এটা শুনতে আমারও খুব খারাপ লাগে। মন থেকে বলছি’।
রায়গঞ্জে ১৮ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। ইতিমধ্যেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে তৃণমূলের বিজয় মিছিল। পোস্টাল ব্যালটের গণনার সময় থেকেই রায়গঞ্জে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। ক্রমশ জয়ের ব্যবধান বাড়ছে কৃষ্ণ কল্যাণীর।
বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে পঞ্চম রাউন্ডের শেষে ১২ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুর। গণনাকেন্দ্রে নিজে বসে নজর রাখছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য মমতাবালা ঠাকুর। লোকসভা ভোটে বনগাঁ লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর বিপুল ভোটে জিতেছেন। বিজেপির গড়ে বাগদা বিধানসভায় কার্যত জয়ের পথেই এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাণাঘাট দক্ষিণেও এগিয়ে রয়েছেন মুকুটমণি অধিকারী। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের কাছে হার মানতে হয়েছিল মুকুটমণিকে। নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তিনি।
বিধানসভা উপনির্বাচনে ষষ্ঠ রাউন্ডের শেষে ১৩ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মুকুটমণি। দেশজুড়ে বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফলে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি।
১৩ হাজারের মধ্যে ১১টি আসনেই পিছিয়ে রয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল এবং তার সহযোগীরা। লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কার পর বিধানসভায় ফের বড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন