সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:পবিত্র ইদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের আনন্দ মিশেছে একসঙ্গে। দুই উৎসবের মিশেলে মিলেমিশে একাকার মানুষ। উৎসব উপলক্ষে রাজশাহী নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের পদচরণায় এখনও সরগরম। ইদের দিন থেকেই দর্শনার্থীদের প্রচুর ভিড় জমছে বিনোদন স্পটগুলোতে। ইদের দিন দুপুর থেকেই ইদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বিনোদন প্রেমীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান।
নগরীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র পদ্মাপাড়, শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান, শহিদ জিয়া শিশু পার্ক, সিঅ্যান্ডবি বঙ্গবন্ধু মুর্যাল এলাকাসহ নগরীর নান্দনিক রাস্তাগুলো মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। রং-বেরঙের বাহারি সাজে তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোরসহ সকল বয়সী ও শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটে আসেন বিনোদন স্পটগুলোতে। নগরীর পাশাপাশি জেলার বিনোদন স্পটগুলোতেও এবার ভিড় ছিলো প্রচুর। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এ স্পটগুলোতে মানুষের সমাগম হয়।
বিনোদন স্পটগুলো ঘুরে দেখা যায়, বন্ধু-বান্ধবের সাথে ছবি তোলা, প্রিয়জনের সাথে হাঁটা, বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো নিয়ে মেতে উঠেছে প্রত্যেকে। পদ্মার পানিতে কেউ পা ডুবিয়ে, কেউ পদ্মার বুকে সুরের মুর্ছনা ছড়িয়ে ইদ ও বৈশাখের আনন্দ উদযাপন করেছেন।
নগরীর শহিদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানে সকাল থেকেই বিনোপ্রেমীদের সমাগম ঘটে। টিকিট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইন লেগেই আছে। কেউ বাস, মিনিট্রাক, পিক আপ ভ্যান, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন বাহনে চেপে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর বিনোদন স্পটগুলো ঘুরে দেখছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। কেন্দ্রীয় উদ্যানের ভেতর, পদ্মার পাড় ছিল লোকারণ্য। সেখানে বিভিন্নভাবে তারা আনন্দ উপভোগ করে নিয়েছেন।
নগরীর নওদাপাড়া এলাকায় নির্মিত শহিদ জিয়া শিশু পার্কেও দর্শনার্থীদের ভিড় ভালো ছিলো। হাজারো মানুষের সমাগমে মুখরিত ছিলো পার্ক। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে বেশি জনসমাগম ছিলো নগরীর পদ্মা পাড়ে। চৌত্রের রোদ-তাপ উপেক্ষা করেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ইদের আনন্দ উপভোগ করতে পদ্মার পাড়ে ভিড় জমান। রোদের মাত্রা বেশি থাকায় অন্যান্য স্থান থেকে নদীর পাড়কেই বেছে নেন বিনোদন পিপাসুরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রত্যেক বিনোদন কেন্দ্রে ছিলো বাড়তি নিরাপত্তা।
নগরীর পদ্মাপাড় সংলগ্ন নোঙরে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন সাব্বির রহমান। তিনি জানান, ইদের এ সময়ে পরিবারের আবদার থাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার। রাজশাহীতে পর্যটন স্পট বলতে প্রথমেই পদ্মাপাড়ের নাম আসে। আর বর্তমানে পদ্মাপাড়ে নোঙর রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের যে বাগান- সেটার পরিবেশ অনেক ভালো। তাই এখানে নিয়ে আসা। বাচ্চারাও অনেক মজা করছে। সুন্দর একটি পরিবেশে বসে একটি সুন্দর মুহূর্তও কাটানো গেলো।
আরেক দর্শনার্থী রাব্বিল হোসেন বলেন, যে কোনো উৎসবের আমেজে পরিবারের ঘুরতে যাওয়ার বায়না থাকে। কিন্তু কর্মব্যস্ততার কারণে হয়ে ওঠে না। তাই ইদের এ ছুটিটা একটু ঘুরে ফিরে সুন্দরভাবে কাটানোর প্রয়াস থাকে। আর বছরের এ দিনটাই পরিবারের সাথে ঘুরেও বেশ আনন্দ পাওয়া যায়।