বিভিন্ন স্তরের শিক্ষায় বাংলা

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭, ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ

শাহ মো. জিয়াউদ্দিন


মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে দিন দিন আগ্রহ কমছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের। অনেকেই এর কারণ হিসাবে আখ্যায়িত করবেন উচ্চ স্তরের শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলায় পাঠ্যপুস্তকের অপ্রতুলতা। এটা ঠিক তবে, তাছাড়া উচ্চ শিক্ষায় বাংলা ভাষার প্রচলন না থাকায় অনাগ্রহ বাড়ছে। কর্মক্ষেত্রে ব্যবহারিক ভাষায় মানুষই শিক্ষা গ্রহণ করতে চায় এবং তা করাও উচিত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, ফলে গড়ে উঠেছে ব্যক্তিমালিকানাধীন শিল্প, ব্যাংক, বিমাসহ নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া এদেশে কাজ করছে বহুজাতিক কোম্পানিসহ নানা ধরনের বিদেশি সংস্থা। বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে কাজ করছে অনেক এনজিও। এই এনজিওগুলিরও দাপ্তরিক ভাষা ইংরেজি। দেশের সকল প্রাইভেট ব্যাংক, বিমা, শিল্প-কারখানারসহ বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাপ্তরিক ভাষা হলো ইংরেজি। তাই বাধ্য হয়ে ইংরেজি শিখতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে কয়েক হাজার এনজিও বিদেশিদের অর্থায়নে দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের ইতিবাচক পরির্বতনের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। এই এনজিওগুলির কার্যক্রমে দেশের দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের ইতিবাচক পরির্বতন হয়নি, তবে ভাগ্যর উন্নতি হয়েছে এনজিও কর্ণধারদের। এনজিওর উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও কৌশল সম্পূর্ণটা ইংরেজিতে যার সাথে এদেশের দরিদ্র মানুষের অংশিদারিত্ব নাই। বাস্তবে যাদের ইতিবাচক উন্নয়নে এনজিওরা কাজ করছে সেই মানুষগুলো নিজেরাই বিষয়াটি বুঝতে পারছে না এনজিওদের উন্নয়নের কৌশলটা।
বেসরকারি, সরকারি, এনজিও শিল্পকারখানা ব্যাংক বিমাসহ সকল কর্মক্ষেত্রে ইংরেজি জানা না থাকলে কর্মীরা নিজেদের দক্ষতা এবং চৌকষতার পরিচয় দিতে পারে না। তাই শিক্ষা জীবনে ইংরেজি শিখার আগ্রহ বাড়ছে। বাংলাদেশে ভালো চাকরি বা ভালো ব্যবসার মাধ্যমে কর্মসংস্থান করতে হলে ইংরেজি জানাটা অপরিহার্য। তাই  শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে বিসর্জন দিয়ে ছুটছে বিদেশি সংস্কৃতির দিকে। একটি শিশুর পড়ার উপযোগী বয়স হওয়ার সাথে সাথেই তাকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়। শিক্ষাগ্রহণের জন্য মাতৃভাষায় প্রাথমিক গাথুনিটা যদি গড়ে না উঠে তবে তার জ্ঞান বিকাশের ক্ষেত্রটা কোন দিনই প্রসারিত হবে না এবং ভালো করে ইংরেজি শিক্ষাটাও সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে  দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীরা যে কোন ভাবেই হোক ইংরেজি ভাষাকে আয়ত্ব করতে ব্যস্ত। যার মাতৃভাষায় পারদর্শিতা নাই সে কোনভাবেই অন্য ভাষায় পারদর্শী হতে পারে না। পৃথিবীর বহুদেশ তাদের উচ্চশিক্ষা তথা সর্বস্তরে শিক্ষা ব্যবস্থায় মাতৃভাষায় প্রচলন করেছে। বর্তমান বিশ্বে চিন, জাপান, রাশিয়া বাণিজ্যে ও জ্ঞান বিজ্ঞানের শীর্ষ দেশ। এই দেশগুলো তাদের সর্বস্তরে শিক্ষা ব্যবস্থা মাতৃভাষায় চালু করেছে। বাংলাদেশ থেকে কোন শিক্ষার্থী জাপান, চিন বা রাশিয়ায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে গেলে তাদেরকে প্রথমেই ওই দেশের ভাষা শিখতে হয়। চিন বা রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজির ব্যবহার নাই।  মেধার প্রকৃত বিকাশ ঘটাতে হলে শিক্ষার অনুশীলনটা মাতৃভাষায় করা প্রয়োজন। চিন এবং রাশিয়া তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তবে ইংরেজি ভাষার প্রয়োজনীয়তাটা অস্বীকার করা যায় না। ইংরেজি ভাষা তার আধিপত্যটা সারা বিশ্ব জুড়ে বিস্তার করেছে। তাই এই ভাষাটা সকল ভাষার সেতুবন্ধনে কাজ করছে। যেমন রুশ, চিনা বা জাপানি ভাষার একটি বই ইংরেরজিতে অনুদিত হলে তা বাংলা অনুবাদ করা সহজ হয়। সেই ক্ষেত্রে ইংরেজিটা জানা দরকার। তবে এই বিষয়টিকে সার্বজনিন রূপ দেয়া ঠিক না। প্রশ্ন আসবে উচ্চশিক্ষার পাঠ্য বইগুলির কী হবে? বাংলাদেশে প্রায় ৩৫ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সেখানে সিনিয়র গ্রেডের প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক অধ্যাপক কর্মরত। তারা অবশ্যই উচ্চশিক্ষায় ব্যবহৃত পাঠ্যপুস্তকগুলি বাংলায় অনুদিত করে এদেশের শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় পাঠউপযোগী করে গড়ে তুলতে পারেন। বাস্তবে এই বিষয়টি বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। সাংবিধানিকভাবে বাংলা ভাষার কথা বলা হলেও সর্বস্তরে তা চালু নেই। কারণ মানুষ যদি শিক্ষা ইংরেজিতে গ্রহণ করে তাহলে তার প্রয়োগিকটা বাংলায় প্রচলন করা কি সম্ভব?  বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের রায় বাংলায় লিখা হোক এটা জনদাবিতে পরিণত হয়ে আছে। ইতোমধ্যে দু একটি রায় হয়েছে বাংলায়। বাংলায় অফিস, আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি মূল কারণ হলো শিক্ষা ব্যবস্থায় বাংলার প্রচলন না থাকা। বাংলাদেশে শিক্ষা স্তরকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা স্তর ( ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর) পর্বে ভাগ করা হয়েছে। শিক্ষানীতির দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার শিরোনামে বলা হয়েছে, অনান্য গ্রহণযোগ্য উপায়ের সাহায্যে ছবি, রং মডেল, গল্প ছড়া কবিতার মাধ্যমে শিক্ষাদান পদ্ধতি চালু করা। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার মাধ্যমটি বাংলা কথাটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলেও বলা হয়েছে- দেশজ আবহ এর মাধ্যমে শিক্ষণ পদ্ধতির কথা। মূল বিষয়টি হচ্ছে এদেশের সাংস্কৃতিক পরিম-লের প্রভাবে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতিটি পরিচালিত হবে। অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরের ভাষা হবে বাংলা এবং প্রযোজ্য বিশেষ অঞ্চলে বাংলাদেশি আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা। এই শিক্ষানীতির সাথে দেশে চলমান শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিক্ষ নীতিতে বলা আছে প্রাক প্রাথমিক স্তর পরবর্তী হলো প্রথম শ্রেণি। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন গড়ে উঠা বাণিজ্যিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রাক প্রাথমিক স্তরে রয়েছে তিনটি শ্রেণি প্লে, কেজি, নার্সারি। এই বাণিজ্যিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সরকারিভাবে প্রাক প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যকৃত বই বাইরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের ইচ্ছা মাফিক পাঠ্যপুস্তক এবং সিলেবাস তৈরি করে, কোমলমতি শিশুদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে ইংরেজিসহ নানা ধরনের বই। এর মাধ্যমে শিশুদের মেধার বিকাশ তো হচ্ছে না, তারা যান্ত্রিকতার বুহ্যজালে জড়িয়ে পড়ছে। প্রাক প্রাথমিক স্তর ও প্রাথমিক স্তরে খেলাধুলার বিষয়টি অধিক গুরুত্ব আসা উচিত। শিশুকে সৃজনশীলতার ধারায় বিকিশিত করতে হলে তাকে পাঠ্যবইয়ের বন্দিত্ব থেকে মুক্ত করে আপন মনে বিকশিত হওয়ার শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি। প্রথম শ্রেণি থেকে ইংরেজি পড়ানোর বিষয়টি বলা হয়েছে। এখানে একটি বিষয় ভাবা উচিত যদি মাতৃভাষাটি শিশু আয়ত্বই করতে না পারে তাহলে অন্য ভাষাটি তার পক্ষে শেখা কষ্ট সাধ্য। তাই দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা এ ক্ষেত্রে মুখস্থ বিদ্যার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বিশ্বের কোন দেশেই প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষার বাইরে অন্য ভাষায় শিক্ষা দেয়ার প্রচলন নেই। পৃথিবীর প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষা একটি বিশেষ স্থানে অধিষ্ঠিত।  তাছাড়া বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ এবং স্বয়ং সম্পূর্ণ ভাষা।  তারপরও বাংলাদেশের প্রাথমিক স্তরে আরবি ও ইংরেজি ভাষার শেখানোর পদ্ধতি রয়েছে। মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা পদ্ধতি বাংলায় তবে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজগুলির শিক্ষার মাধ্যম হলো ইংরেজি। অনেক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ও নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অন্য বই পড়ানো হয়। দেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায়ও বর্তমানে গড়ে উঠেছে দু ধরনের প্রতিষ্ঠান, পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বাণিজ্যিক ভিত্তিক গড়ে উঠেছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান বিষয়ক বিভাগগুলি বেশি পড়ানো হয় কর্ম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে ইংরেজিকে ব্যবহার করছে। তারা জানে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হয় ইংরেজিতে। তাই তারা এই সকল প্রতিষ্ঠানের কর্ম উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালায়। ফলে এই শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সাক্ষর না স্বাক্ষর হচ্ছে। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও উচ্চস্তরে শিক্ষা ব্যবস্থায় বাংলা ভাষার পাঠ্যপুস্তক নাই। আমাদের দেশের মানুষ এখনো বিশ্বাস করে, ভাল ইংরেজি না জানলে মানুষ শিক্ষিত হয় না। ইংরেজরা চলে গেছে ৬৮ বছর কিন্তু তাদের ধ্যান-ধারণার যে বীজ রোপণ করে গেছে এ দেশের মানুষের মনে তা আজও জাগরুক। এখনো আমাদের দেশে কোন মানুষকে মেধাবী বা প্রতিভাবান হিসাবে প্রকাশ করার অন্যতম মাধ্যম হলো ইংরেজি। আমি দেশের অন্যতম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি নিয়েছি। আমার এমবিএ পড়ার মাধ্যম হলো ইংরেজি। এমবিএ বাণিজ্য অনুষদের একটি ডিগ্রি হওয়ায় এখানে বাণিজ্য অনুষদভুক্ত বিষয়গুলি পড়ানো হয়ে থাকে। অন্য অনুষদভুক্ত ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরাও এমবিএতে ভর্তি হয়। অন্য অনুষদভুক্ত বিষয় নিয়ে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য বাণিজ্য অনুষদের বিষয়গুলি বুঝতে একটু সমস্যা। আমি ক্লাসে অন্য শিক্ষার্থীদের চাইতে বয়সে কিছুু বড় হওয়ায় অন্যরা আমাকে একটু শ্রদ্ধা করতো। আমার ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি ছিল ইসলামের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি বিষয় নিয়ে তাই বাণিজ্য অনুষদের বিষয়গুলি আমার কাছে ছিল সম্পূর্ণ নতুন। এই বিষয়গুলি আমার আত্মস্থ করতে সমস্যা হচ্ছিল। আমার  এক সহপাঠি হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে এমবিএ করতে এসেছে। তার  এমবিএর বিষয় গুলো  সম্পর্কে ধারণা ছিল। তার অসাধারণ দখল ছিল এমবিএতে পড়ানো  অপপড়ঁহঃরহম, ঊপড়হড়সরপং, ইঁংরহবংং সধঃযবসধঃরপং, সধহধমবৎরধষ ধপপড়ঁহঃরহম  বিষয়ে। উল্লিখিত বিষয়গুলির উপর সে দখলত্ব অর্জন করেছে বাংলা ভাষার  মাধ্যমে। আমি ইসলামের ইতিহাসের ছাত্র বিধায় উক্ত বিষয়গুলি আমার কাছে ছিল নতুন। এই পাঠগুলি নিজ আয়ত্বে আনতে আমার একটু সমস্যা হয়। আমি সহযোগিতার জন্য তার শরনাপণœ হলাম। বন্ধুটি  আমাকে জানাল যে, উল্লিখিত বিষয়ের আমার জন্য যে অংশটুকুর সমস্যা আছে সেই সমস্যাগুলির সমাধান তিনি বাংলায় করে দিতে পারবে। বন্ধুটির চেয়ে আমার ইংরেজি ভাষার উপর একটু বেশি দখল রয়েছে। তার সহযোগিতায় বিষয়গুলি সহজে আয়ত্ব করে নিয়েছিলাম। আমাদের এমবিএ এর ফাইনাল ফলাফল বের হলো। আমি ফইনালে সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে পেয়েছি ৩.৪৭ আর বন্ধুটি পেল ২.৯৫। বন্ধুটি আমার চেয়ে বেশি মেধাবী হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের রেজিস্ট্রারে  মেধাক্রমানুসারে আমার অনেক পেছনে। এই মেধা নির্ধারণের বিষয়টি নির্ভর করেছে ইংরেজি ভাষা জানার উপর, মেধার উপর নয়। পৃথিবীর ৩৫ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে । বিশ্বের জনসংখ্যার অনুপাতে বাংলা ভাষাভাষি জনসংখ্যার স্থান সপ্তমে । অথচ বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বাংলা ভাষায় উচ্চশিক্ষা বা গবেষণার ব্যবস্থা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উচ্চতর গবেষণার কাজ হয় ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে। ফলে অনেক প্রতিভাবান শিক্ষার্থী উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। তাই উচ্চস্তরে পড়ানো সকল বিষয় বাংলায় অনুবাদ করে পড়ানোর ব্যবস্থা করা উচিত। এ দেশের শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মেধার বিকাশ ঘটাতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় বাংলা ভাষা চালু করা দরকার।
লেখক:- কলামিস্ট