বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, পলাতক আসামি গ্রেফতার

আপডেট: মার্চ ৮, ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ


দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি হাসিবুর রহমানকে(২১ )গ্রেপ্তার করছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৮মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদিউজ্জামন এ তথ্য জানান। এর আগে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের সায়বাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাসিবুর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সায়বাড়এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর একই উপজেলার পাশাপাশি হওয়ার সুবাদে আসামি হাসিবুরের সাথে পারিবারিকভাবে ২০২২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। দীর্ঘ এক বছর সংসার করার পরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদালতের মাধ্যমে ডিভোর্স দিন। আসামি ডিভোর্স দেওয়ার এক সপ্তাহ পরে ভুক্তভোগীকে ভুল হয়েছে বলে পুনরায় সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামি ভুক্তভোগীকে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানেই তাদের সুন্দর সুখের সংসার গড়ে তুলেন। এর মধ্যেই ভুক্তভোগীর গর্ভে আসামি হাসিবুর রহমানের সন্তান আসেন।

কিন্তু হঠাৎ করেই ভুক্তভোগীর গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করেন আসামি হাসিবুর রহমান। আসামি তড়িঘড়ি করে ভুক্তভোগী কে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। পরে আসামি হাসিবুর রহমান কৌশলে ভুক্তভোগী কে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সেই থেকেই আসামি ভুক্তভোগীর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি সে আমার স্ত্রী নয় বলে অস্বীকারও করে আসামী হাসিবুর রহমান।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই মামলা শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, আদালতের আদেশে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী। ঘটনার পরই আসামি হাসিবুর রহমান আত্মগোপনে চলে যায়। পরে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখে। শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আগামীকাল সকালে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হবেবলে জানানো ওসি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ